এইচএসসিতে রাঙামাটি জেলায় কোন কলেজ কেমন করলো

516

॥ মঈন উদ্দীন বাপ্পী ॥

প্রথমবারের মতো এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে বাজিমাত করলো লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। রোববার (২৩ জুলাই) এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, এ কলেজটি থেকে সর্বমোট ৯৪জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করে একজন জিপিএ-৫সহ পাশ করেছে ৭৮জন। এই কলেজে গড় পাশের হার ৮৩%।

কলেজ কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথানুযায়ী এবছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাস করেছে ১৮জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১, মানবিক  বিভাগে ৩৬জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে পাস করেছে ৩১জন এবং ব্যবসা শিক্ষা  বিভাগ থেকে ৩২জন অংশ গ্রহণ করে পাস করেছে ২৯জন।

রাঙামাটি সরকারি কলেজ থেকে এবারে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে ৫৪৩জন শিক্ষার্থী। ব্যবসা  শিক্ষা বিভাগ থেকে ২৪০ জন, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৮৬ জন এর মধ্যে ৩জন জিপিএ-৫ এবং মানবিক বিভাগ থেকে ১১৭ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। পাশের হার ৪৬%।

রাঙামাটি পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে ১৪০ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে মানবিক বিভাগ থেকে ২৬জন এবং বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২৮জন পাস করেছে। পাশের হার ৩৮.২৯%।

রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এবারে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে ৭৭৪জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান, ব্যবসা শিক্ষা  এবং মানবিক বিভাগ থেকে ২৬৬জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। পাসের হার ৩৪.৩৮%।

লংগদু উপজেলার রাবেতা মডেল  কলেজ থেকে এবারে এইচএসসি পরীক্ষায় ২৭৫জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে মানবিক, বিজ্ঞান এবং ব্যবসা শিক্ষা থেকে পাস করেছে ১৮৭জন শিক্ষার্থী।

বাঘাইছড়ি উপজেলার কাচালং ডিগ্রী কলেজ থেকে ৫৫০জন শিক্ষার্থী এবারে এইচএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে মানবিক, ব্যবসা শিক্ষা এবং বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মিলে ২৮৭জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। পাশের হার ৫২%।

কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী ডিগ্রী কলেজ থেকে এবারে এইচএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে ৫৪৭জন। ব্যবসা শিক্ষা, মানবিক এবং বিজ্ঞান বিভাগ মিলে এবারে ২৬০জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। পাসের হার ৪৭.১৭%।

এছাড়া কারিগরী শিক্ষা বোর্ড নিয়ন্ত্রিত জেলার একমাত্র কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাঙামাটি বিএম ইন্সটিটিউট থেকে এবারে ১১৮৩জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে থেকে পাস করেছে ৫৪৩জন।

রাঙামাটি সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর  বিধান চন্দ্র বড়–য়া বলেন, এবারে এইচএসসি পরিক্ষার ফলাফল চট্টগ্রাম বোর্ডের তুলনায় আমাদের পিছিয়ে পড়া এ জেলার কলেজটি ভাল ফলাফল করেছে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। প্রফেসর বিধান আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি শ্রেণী কক্ষে পাঠদানে মনোযোগী হতো তাহলে ফলাফল আরও ভাল হতো।