দুদকের মামলায় রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্র্বাহী প্রকৌশলী সুকমল চাকমা আটক

272

sukomol-dr

 

আলমগীর মানিক- ১৮ অক্টোবর ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি: রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুকমল চাকমাকে দূর্নীতির দায়ে আটক করেছে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক। মঙ্গলবার রাত নয়টায় তবলছড়ি টেক্সটাইল মার্কেট এলাকায় শপিং করার সময় তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে ঢাকার বনানী থানায় দায়ের করা রাজউকের একটি মামলার অভিযুক্ত হিসেবে আটক হন তিনি। মামলা নং-১৭ তারিখ-১৮-১০-১৬ ইং। মঙ্গলবার রাতে রাঙামাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক শফিকুর রহমান ভূইয়ার নেতৃত্বে দুদকের সহকারী- পরিদর্শক মিজান উদ্দিন, রাঙামাটি কোতয়ালী থানার পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

দুদকের সহকারী- পরিদর্শক মিজান উদ্দিন জানান, সুকমল চাকমার বিরুদ্ধে ঢাকায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের করা একটি জালিয়াতির মামলায় রয়েছে। তিনি রাজউকের অথরাইজ অফিসার থাকাকালীন এই দুর্নিতির ঘটনা ঘটে। তিনি এই মামলার ২ নম্বর আসামী। এ মামলার এক নম্বর আসামী মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার বিকালে রাজধানী থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় দুদক।
দুদক জানিয়েছে, সুকমল চাকমা রাজউকে অথোরাইজড কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে রাজউক এর সদস্য পরিকল্পনা ও সদস্য উন্নয়ন এই দুইজনের সই-স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ১৯ তলা একটি ভবন নির্মাণে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

দুদক কর্মকর্তা জানান, স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে রাজধানীর বেশ কিছু বহুতল ভবনের নকশা অনুমোদন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে রাজউকের তৎকালীন অথরাইজড অফিসার মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী সুকমল চাকমাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান পরবর্তী ঘটনার সত্যতা পায় দুদক। এর পরপরই উক্ত কর্মকর্তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা থেকে মিজানুর রহমানকে এবং রাতে রাঙামাটি থেকে সুকমল চাকমাকে গ্রেফতার করে দুদক কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার রাতে দুদকের কর্মকর্তারা কোতয়ালী থানার এসআই ওমর ফারুক ও এসআই আরিফসহ পুলিশের একটি দলকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে তল্লাসি চালানোর পর রাত নয়টার সময় টেক্সটাইল মার্কেটের একটি দোকানে শপিং করার সময় তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় সুকমল চাকমা একজন কর্মকর্তার সাথে শপিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন।

আটকের সময় সুকমল চাকমা বলেন, দূর্নীতি করেছে মিজানুর রহমান। আমি তার বিরুদ্ধে রিপোর্টিং করেছি। সুকমল চাকমা দাবি করেন, উক্ত দুর্নীতির ঘটনাটি রাজউকের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়েছে এবং তদন্ত রিপোর্টে মিজানুর রহমানকে দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু এখন আমাকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে আমি জানি না।

সূত্রমতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নজরদারিতে রয়েছে। এছাড়া রাজউকের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি উল্লেখ করে স¤প্রতি কমিশনে ১০টি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সুনির্দিষ্ট ১৫-১৬টি অভিযোগের ভিত্তিতে রাজউকের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানসহ ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের পৃথক অনুসন্ধান চলছে।

স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে রাজধানীর বেশ কিছু বহুতল ভবনের নকশা অনুমোদন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে রাজউকের অথরাইজড অফিসার মিজানুর রহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছিলো ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সুকমল চাকমাকে গ্রেফতার করা হয়।

পোস্ট করেন, শামীমুল আহসান- ঢাকা ব্যুরো অফিস।