বনবিভাগের পাহাড় ধসে কবরস্থান ও এতিমখানা হুমকিতে আতঙ্কে এলাকাবাসী

376

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
গত কয়েকদিনের ভারীবর্ষণে রাঙামাটি জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র বনরূপা এলাকায় পাহাড়ের একটি অংশ ধসে পড়ায় হুমকিতে পড়েছে বনরূপা কবরস্থান ও আল আমিন এতিমখানা। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এলাকার বাসিন্দা, এতিমখানার কয়েকজন আবাসিক ছাত্র এবং বনবিভাগের কর্মচারীরা। সহসা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে যে কোনো মূহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনাসহ বনরূপা কবরস্থানের সমুহ ক্ষতি এবং আল-আমিন এতিমখানার ভবনটি মাটির নীচে চাপা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

এলাকাবাসী জানায়, পাহাড়টি রাঙামাটি বন বিভাগের মালিকানাধীন। কয়েকদিনের টানা বর্ষণে মঙ্গলবার পাহাড়ের একটি অংশ ধসে এতিমখানা ভবনে পড়ায় উক্ত ভবনটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এতে পার্শবর্তী কবরস্থান ও বন বিভাগের স্টাফদের আবাসস্থলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ড্রেনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বৃষ্টি নামলেই পানিতে ডুবে প্লাবিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ অংশ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন বিভাগের মালিকানাধীন পাহাড়টি বাঁশঝাড় সহ ভবনটির উপর ধ্বসে পড়ে। এতে ভবনটির শিক্ষার্থী ও মুসল্লিদের পানি সরবরাহের পানির ট্যাংকটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ও পানি সরবরাহের সকল পাইপ ফেটে যাওয়ার পানি বিহীন অবস্থায় দিনযাপন করছে অবস্থানরত আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এদিকে বাশঁঝাড় সহ পাহাড়টি ধ্বসে পড়ায় আতঙ্কে দিনযাপন করছেন পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে ৭ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন জানান, এতিমখানার পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হলে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। বিষয়টি সত্যিই আশঙ্কাজনক, শিক্ষার্থীরা কষ্টে আছে, তা ছাড়া কবরস্থান ও এতিমখানার আরো ক্ষতি হতে পারে। পাহাড়টি বন বিভাগের ওখানে বনবিভাগের লোকজন বসবাস করে, তাদের জীবনও হুমকির মুখে। বিষয়টি আমি তৎক্ষনাৎ উত্তর বন বিভাগের ডিএফওকে জানিয়েছি, তিনি সহসা ব্যবস্থা নিবেন বলে কথা দিলেও এখনও কোনো উদ্যোগ হয়নি বলে জানতে পারলাম বলে যোগ করেন কাউন্সিলর জামাল। বিষয়টি দুঃখজনক বলেও মনে করেন তিনি।

করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এতিমখানার সুপার বাড়িতে। এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জানান, বনবিভাগের পাহাড় ধসে কবরস্থান ও এতিমখানা হুমকির মুখে। এ বিষয়ে এখনি পদক্ষেপ নেওয়া না হলে সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বনবিভাগের কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। এ বিষয়ে জেলাপ্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।