বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে সবদলের ভাগ

478

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার উপজেলাধীন একমাত্র পৌরসভা তথা সীমান্তবর্তী বাঘাইছড়ি পৌরসভার দ্বিতীয় পরিষদ নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. জাফর আলী খান। দ্বিতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী যারা কাউন্সিল পদে বিজয়ী হয়েছেন তারা হলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসন ১-২-৩ নং ওয়ার্ডে আমেনা বেগম (প্রাপ্ত ভোট ১,৫৫৫), ৪-৫-৬ ওয়ার্ডে মোর্শেদা বেগম (প্রাপ্ত ভোট ১,৫৯৫) ও ৭-৮-৯ ওয়ার্ডে চঞ্চলা চাকমা (প্রাপ্ত ভোট ১,২৯২)। এ ছাড়া সাধারণ ওয়ার্ডে নির্বাচিতরা হলেন, ওয়ার্ড নং-১ মোহাম্মদ হোসেন (৬৪১ ভোট), ওয়ার্ড নং-২ ওবায়দুল হক (৪৫৩ ভোট), ওয়ার্ড নং-৩ বাহার উদ্দিন (৩০৪ ভোট), ওয়ার্ড নং-৪ নুরুল আলম (৩৮০ ভোট), ওয়ার্ড নং-৫ শহীদুল ইসলাম (৬৭৬ ভোট), ওয়ার্ড নং-৬ নাজিম উদ্দিন (৩৮০), ওয়ার্ড নং-৭ পারভেজ আলী (৪৮৮ ভোট), ওয়ার্ড নং-৮ উৎপল তালুকদার  (৪৪০ ভোট) ও ওয়ার্ড নং-৯ নুরুল হক তালুকদার (৩৪৬ ভোট)।

স্থানীয় প্রবীণদের বক্তব্য, ভোটারদের প্রচরণা এবং সবশেষ তথ্য থেকে জানা গেছে, এই ১২ কাউন্সিলরের মধ্যেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাল্লা ভারি। তারা একাই অর্জন করেছেন ৭টি কাউন্সিলর আসন। এর মধ্যে সংরক্ষিত ১-৩ এবং ২-৪ এই দুই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুই নারী আওয়ামী লীগ সমর্থিত। এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১ নং ওয়ার্ড, ৩ নং ওয়ার্ড, ৫ নং ওয়ার্ড, ৭ নং ওয়ার্ড এবং ৯ নং ওয়ার্ড এই পাঁচটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ সমর্থিত।

এদিকে মেয়র পদে ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়া বিএনপি কাউন্সিলর পদেও তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি। এই দল ভাগ পেয়েছে তিনটি আসন। তার মধ্যে একটি দ্বৈত মতের। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের ৭-৯ ওয়ার্ডটিতে জিতে আসা চঞ্চলা চাকমার স্বামী বিএনপি নেতা বলে মনে করা হলেও কাউন্সিলর পদের চঞ্চলা সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত। তবে স্থানীয় বিএনপি নেতারা দাবি করছেন এই আসনটি তাদের ঝুলিতে গিয়েছে। এ ছাড়া ৪ নং ওয়ার্ড এবং ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন বিএনপি সমর্থিত। এখানে সবাইকে অবাক করে দিয়ে একটি কাউন্সিলর আসন দখলে নিয়েছে জামায়াত ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওবায়দুল হককে জামায়াত সমর্থিত ধরা হচ্ছে। এদিকে পৌর এলাকায় জেএসএসের তেমন কোনো অবস্থান না থাকলেও তারাও একটি কাউন্সিলর পদ নিজেদের করে নিয়েছেন বলে জানায় স্থানীয়রা। এই আসনটি হলো ৮ ওয়ার্ডের তালুকদার। সব মিলিয়ে এমন ভাগাভাগি ভোটারদের উৎসাহিতই করেছে বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা। তবে এই বিশ্লেষণ কতটা সঠিক তা সময়ই বলে দেবে।