রাঙামাটি পশুর হাট নিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ

216

dr-photo

এম. কামাল উদ্দিন- ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি: রাঙামাটি পশুর হাটে ইজারার নামে দ্বিগুন হাসিল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাঙামাটি পৌর ট্রাক টার্মিনালে কোরবানি পশুর হাটে আসা ক্রেতারা এ অভিযোগ করেছেন। শনিবার পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে প্রকৃত ইজাদারা পশুর হাসিল নিচ্ছেনা হাসিল নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন।

নিয়মমাপিক পশুর হাট যারা ইজারা নেয় তারই পশুর হাটের হাসিল তুলে। কিন্তু এখানে পশুর হাটের হাসিল নেওয়া হচ্ছে অন্যভাবে। এদিকে পশুর হাটে ক্রেতারা গরু কিনতে গিয়ে ইজারা অথাৎ হাসিল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। আবার অনেকে গরুর হাসিল দ্বিগুন নেওয়ার অভিযোগ করেছে। পৌর ট্রাক টার্মিনালে ক্ষমতাসীন দলীয় লোকজন পশুর হাটে ইজারা নামে চাঁদাবাজি করছে।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা সাওয়াল বলেন, ট্রাক টার্মিনাল বেশী টাকা দিয়ে ইজারা নেওয়া হয়েছে। তাই এবার পশুর হাটে হাজার প্রতি ৩০টাকা হাসিল নেওয়া হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রির্জাভ বাজার পশুর হাট হিসেবে গরু বিক্রয়ের কোন বৈধতা নেই। তার পরও তারা সেখানে পশুর হাট বসিয়ে গরু বিক্রি করছে। যার কারনে রির্জাভ বাজারে গরুর হাসিল কম নিচ্ছে। তিনি আরো বলেন,এই পশুর হাটে বৈধ ভাবে গরুর হাসিলসহ সকল কার্যক্রম চলছে।

এদিকে নিউ রাঙামাটি ব্যবসায়ি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর সভার কাউন্সিলর মো.হেলাল উদ্দিন বলেন, রির্জাভ বাজার সরকারি বাজার ফান্ড অনুমোদিত। কিন্তু পৌর ট্রাক টার্মিনাল অবৈধ ভাবে পশুর হাট বসিয়ে গরু বিক্রি করছে। রির্জাভ বাজার পশুর হাটে বড় গরু, মাঝারি গরু ও ছোট গরু সমান ভাবে প্রতি গরু থেকে তিন শ’টাকা পর্যন্ত হাসিল নেওয়া হচ্ছে। এবার থেকে প্রতিবছর রির্জাভ বাজারে পশুর হাট বসবে। হেলাল অভিযোগ করে বলেন, পৌর ট্রাক ট্রার্মিনালে পশুর হাট বসাটা সম্পূর্ণ অবৈধ।

তার পরেও ক্ষমতার জোরে তারা ট্রাক টার্মিনালে প্রতিবছর পশুর হাট বসান। এই ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীকে ফোন করা হলে তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। এদিকে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা গরুর বেপারি ও গরুর মালিকেরাও রেহাই পায়নি ক্ষমতাসীন দলের হাত থেকে। তাদের অভিযোগ এবছর ট্রাক টার্মিনালে ব্যাপক হারে চাঁদা দিতে হচ্ছে।

প্রত্যেক গরু থেকে ২-৩ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়েছে। এখানে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়কেই চাঁদা দিতে হয়েছে। কিন্তু রির্জাভ বাজার পশুর হাটে গরুর হাসিল ছাড়া অন্যকোন বাড়তি টাকা নেওয়া হয়নি বলে জানাগেছে।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান। সূত্র, অন্য মিডিয়া