অর্থাভাবে থাকা কৃষকের ধান কেটে গোলায় তুলে দিলো ‘জীবন’

549

স্টাফ রিপোর্টার

বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যানবাহন।শ্রমিক সংকটে কৃষকের পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে কৃষাণীরা। অর্থাভাবে থাকা কৃষক বাড়তি পারিশ্রমিকে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটাতে পারছিলো না, ফলে কালবৈশাখী এবং গ্রীষ্মের দাবদাহের শঙ্কায় ধান কাটা নিয়ে সংশয় তৈরী হয়েছিলো কৃষক আক্তার হোসেনের। এই মৌসুমে ১ কানি জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছিলেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন “জীবন”।

৬ মে বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার সকালে জীবন কাউখালী চ্যাপটারের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবী আক্তার হোসেনের ধানি জমির পাকা ধান কেটে গোলায় তুলে দেয়। কাউখালী উপজেলার রাঙ্গিপাড়া গ্রামের গরীব কৃষক আক্তার হোসেনের ১ কানি জমির বোরো ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে মাড়াই করে দিয়েছে জীবনের সদস্যরা।
কৃষক আক্তার হোসেন বলেন, “জীবন সংগঠনের সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে আমার ১ কানি জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে, এতে আমার অনেক উপকার হয়েছে। এই বিপদে ছেলেমেয়েগুলো এগিয়ে না আসলে অনেক কষ্ট হতো। আমার এই বিপদে তাঁরা এগিয়ে আসায় আমি তাদের জন্য দোয়া করি।”
অসহায় কৃষ‌কের ধান কে‌টে দি‌য়ে স্থানীয় জনগণের কা‌ছে প্রশং‌সিত হ‌য়ে‌ছেন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা। তাদের এমন মানবিক উদ্যোগে এলাকার সাধারণ কৃষকেরা আনন্দিত।তরুণদের এমন উদ্যোগকে সাদুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
সংগঠনটির উপদেষ্টা মো: জয়নাল আবেদীন জানান, “কৃষক আক্তার হোসেনের টাকার অভাবে জমির পাকা ধান শ্রমিক দিয়ে কাটতে পারছিলেন না। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে মাড়াই করে দিয়েছি। সংকটে থাকা কৃষকের উপকার করতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে। এভাবেই সংকটে থাকা অন্য কৃষকদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, গ্রীণ আর্মি যে কাজটি করেছে তা রাঙ্গিপাড়া গ্রামের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
এই সংগঠনকে অনুসরণ করে অন্যদেরও এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান তিনি।