॥ মাসুদ পারভেজ নির্জন ॥
এক অসহায় পরিবারের একমাত্র অবলম্বনের জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে পরিবারটি। রাঙামাটি শহরের আসামবস্তী ব্রাক্ষনটিলার বাসিন্দা ইব্রাহীম।সবাই তাকে বাবু বলেই ডাকে। পেশায় রাজমিস্ত্রীর হেলপার। করোনা পরিস্থিতিতে অটোরিকশা দুর্ঘটনায় পিতা সুজন মিস্ত্রী মারা যাওয়ার পরেই জীবন নামক পৃথিবীতে নেমে আসে অন্ধকার। তিন ভোন, ছোট ভাই ও মা সহ পুরো সংসারের ভার কাধে চাপে ইব্রাহীমের।দৈনিক ৪০০ টাকা বেতনে কোনভাবে পেটে ভাতে দিন কাটে পরিবারটির। পিতার শোকের রেশ না কাটতেই ইব্রাহীমের সাথে ঘটে আরেক দুর্ঘটনা।
বৃহস্পতিবার ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ৫০ টাকার বিনিময়ে সুপাড়ি পাড়তে গাছে উঠলে গাছ থেকে পরে দুই হাত ও এক পা ভেঙে যায় ইব্রাহীমের। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসায় ১৪ নং বেডে ভর্তি হয় সে।প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য শুরুতে বিভিন্ন জায়গা থেকে সাহায্য তুলে ৭০০০ টাকা সংগ্রহ করা হয়।
অশ্রুশিক্ত নয়নে ইব্রাহীমের মাতা বেবী বেগম জানায়, আজ আমার ছেলের ছেলের দুই হাত ও এক পা ভেঙে গেছে। আমার পৃথিবী আজ অন্ধকার। আমার স্বামী ফেব্রুয়ারীর তিন তারিখ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তার পর থেকে আমার ছেলে সংসারের হাল ধরেছে। আজ আমার ছেলেও দুর্ঘটনায় দুই হাত ও এক পা ভেঙে ফেলে।
এসময় তিনি দেশবাসীর কাছে আমার অনুরোধ করে বলেন, আমি আমার ছেলেকে আগের মত ফিরে পেতে চাই।আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য ৩০,০০০ টাকা প্রয়োজন।আপনারা যদি ক্ষুদ্র সাহায্য করেন আমি আমার ছেলেকে ফিরে পাবো।যাতে আমার ছেলে আগের মত কাজ করে পরিবার চালিয়ে সুখে থাকতে পারি।আমার বিকাশ নং(পার্সোনাল)-০১৮৩৬৯৬৫১১৪।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আর এম ও শওকত আকবর জানিয়েছেন,রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের ১৪ নং বেডে ভর্তি ইব্রাহীম রোগীটা সুপারি গাছ থেকে পড়ে গিয়ে দুই হাত ও এক পা ভেঙে যায়।এগুলো আসলে খুব জটিল কেস।এই চিকিৎসা গুলো রাঙমাটি জেনারেল হাসপাতালে করলে কতটুকো সফল হতে পারবো জানিনা।তথাপি ওর এইসব কিছু সম্পূন করে নিয়ে আসতে বেশ কিছু খরচ ও ঔষধপত্র লাগবে।সবগুলো মিলিয়ে ২০-৩০ হাজার টাকার মত লেগে যেতে পারে।আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করবো আমাদের সার্জন দের দিয়ে যত কমখরছে রোগীটাকে ভালো করা যায়।হয়তো চিকিৎসা শেষে তার কিছু অঙ্গের বাহ্যিকভাবে পরিবর্তন থাকতে পারে ,লম্বা কম বেশি হতে পারে ।এটার ভালো চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করালে ভালো হয়।