॥ স্মৃতিবিন্দু চাকমা ॥
ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য মধ্যেদিয়ে বৌদ্ধ ধর্মালম্ভীদের প্রধান উৎসব হচ্ছে মহান কঠিন চীবর দান। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও আমতলী ধর্মোদয় বনবিহারে ২৭ তম শুভ দানোৎতম কঠিন চীবর দান উদ্যাপন করা হয়েছে।
শনিবার ২১ নভেম্বর এই মহান ধর্মীয় উৎসবে শত শত বৌদ্ধ নর নারী স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূন্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিবছর মহান কঠিন চীবর দান উপলক্ষে কাপড় বুনন করা হলেও এবছর বিশ্বমহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এবার তা করা হয়নি।
শুভ দানোৎতম মহান কঠিন চীবর দান উৎসবে সংঘদান,অষ্টপরিস্কার দান,কল্পতুরু দান সহ নানা বিধ দানীয় সামগ্রী উৎসর্গ করা হয়। অনুষ্ঠানে অনিল বরণ চাকমা এবং অনিল চাকমা সঞ্চালনায় ধর্মীয় উদ্ধোধর্নী সংগীতের মধ্যেদিয়ে পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন চুমকি চাকমা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা,বিহার পরিচালনা কমিটির সাধরণ সম্পাদক কেতন চাকমা চাকমা।
২৭ মত মহান কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুবলং শাখাবনবিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বুদ্ধশ্রী মহাস্থবির। এতে দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্য ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন শ্রীমৎ জিন বোধি মহাস্থবির, সুমন মহাস্থবির,মেত্তাবংশ মহাস্থবির।
কঠিন চীরবদান অনুষ্ঠানে বিহার কমিটির সভাপতির পক্ষ হয়ে শংকর চাকমা বলেন,২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক ভিক্ষু শালা নির্মাণ করার জন্য ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছিল, ভিক্ষু শালা অসমাপ্ত কাজের জন্য সমাপ্ত করণের লক্ষে আবারো পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা প্রার্থনা করেন।