আমাদের একজন স্বপ্নদ্রষ্টা আছেন

535
সাজিদ বিন জাহিদ 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের শীর্ষস্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার একমাত্র পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫১তম জন্মদিন ছিলো আজ। তারুণ্যের গর্ব ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে কিছু স্মৃতিচারণ থাকছে এই লেখায়।
আমি প্রথমবারের মত তাঁর সাথে আলাপচারিতার সুযোগ পেয়েছি সাভারে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০১৮ এর চূড়ান্ত পর্বের আগে। শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্রের মাঠে স্বপ্ন জয়ের পূর্বেই আরেকটি জমকালো আয়োজন। তারুণ্যের রোল মডেল আসছেন তরুণদের কাছ থেকে শুনতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জমায়েত হওয়া সম্ভাবনাময় সকল পরিবর্তনের কারিগর সরাসরি কথা বলার, আলোচনা করার সুযোগ পেলো জয় ভাইয়ের সাথে। বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর চিন্তা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, তরুণদের থেকে তাঁর প্রত্যাশা সবটাই খোলামেলা আলোচনা করলেন তিনি। সেই বক্তব্য ছিলো জাদুকরি। সুদীর্ঘকাল দেশের বাহিরে থেকেও একটা মানুষ কতটা দেশের শিকড়ের সাথে যুক্ত থাকতে পারেন সেটা দেখেই অবাক হচ্ছিলাম। তাঁর প্রতিটা বাক্য ছিলো একদম মন থেকে, হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা নিংড়ে কথাগুলো বের হচ্ছিলো। অকপটে যেসকল বিষয়ে তৎক্ষণাৎ উত্তর দিতে পারেননি তা তরুণদের জানিয়ে দিচ্ছিলেন। এতোটা বিনয়ী হবার কি দরকার ছিলো, স্বাভাবিকভাবেই জিজ্ঞাসা আসারই কথা।
তবে ভুললে চলবে না, তিনি বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র। দেশ ও জনগণের সাথে তাঁর সম্পর্ক আত্মার, এই সম্পর্ক আদর্শের।
সেদিন সন্ধ্যায় যখন চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলাম তাঁর হাত থেকেই বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক তর্জনীর আদলে নির্মিত অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করার সৌভাগ্য হয়। অবাক হলাম তাঁর কথায়। তিনি প্রথমেই অভিনন্দন জানালেন। বললেন, “আপনারা সুন্দর কাজ করছেন। রাঙামাটিতে কাজ করতে একটু অসুবিধা হয় কি? কাজ চালিয়ে যান।”
কি অসাধারণ! একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নেতা তিনটি সহজ বাক্যে তাঁর সবটুকু অভিভাবকত্বের ছাপ ছেড়ে গেলেন।
বাংলাদেশে প্রথমবার জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার তারুণ্যের জন্য উৎসর্গ করেন এদেশের তারুণ্যকে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের পিছেও ছিলো জয় ভাইয়ের ভূমিকা।
২০০৮ সালে প্রকাশিত আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের তথ্যপ্রযুক্তি অংশে আরও অনেক কিছুর সঙ্গে ছিল একটি বাক্য – “২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ।” এই একটি বাক্যই বাংলাদেশকে বদলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিলো। বাস্তবেও হয়েছে তাই। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। এই কৃতিত্ব ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়ের।
প্রথমবারের মতো বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিটের আয়োজন করা হয় জয় ভাইয়ের নির্দেশনায়।
১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাঁর জন্মের কিছুদিন আগেই তার নাম ‘জয়’ রাখা হবে বলে স্থির করা হয়েছিলো। আমাদের জাতীয় জীবনের বৃহত্তম জয়টি সত্যিই অর্জিত হয়েছিলো তাঁর জন্মের পর শুধুমাত্র চার মাসের মধ্যেই। জয় ভাই আমাদের স্বাধীনতার ও বর্তমান প্রজন্মের অনুপ্রেরণার বাতিঘর। তাঁর হাত ধরেই আমরা এগিয়ে যাবো বৃহত্তর জয়ের দিকে।
৫০ তম জন্মবার্ষিকী পালনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাঝে আপনাকে নিয়ে বাংলাদেশ পৌঁছাবে অনন্য উচ্চতায়। পার্বত্যবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জয় ভাই।