স্টাফরিপোর্ট- ২১ অক্টোবর ২০১৮, দৈনিক রাঙামাটি (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি):
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আইসিটি মামলায় বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী জননেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধূরীর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেওয়ায় এবং আলাদত প্রাঙ্গণ থেকে নির্বাচারে বেশ কয়েকজন সাধারণ বিচার পার্থীদের গ্রেপ্তার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাংগামাটি জেলা জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দল।
আজ এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন দলের নেতারা। রাঙামাটি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, সিনিয়র সহসভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাসের এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন, নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে সাধারণ নির্বাচনের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্থ করতেই আমির খসরু মাহমুদকে জামিন না মন্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করে আন্দোলন দাবিয়ে রাখা যাবে না। শান্তিকামী সাধারণ মুানুষকে বিরোধীজোটের আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহবান জানান এবং অবিলম্বে আমির খসরু মাহমুদের মুক্তির দাবী জানান।তারেক
রহমানের বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট
গ্রেনেড হামালা মামলার রায়ের প্রতিবাদ:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামালা মামলার যে রায় দেয়া হয়েছে তাকে গণভবন থেকে আসা প্রেসক্রিপশন উল্লেখ করে রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দিপন তালুকার দিপু বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানের নাম পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংযুক্ত করা হয়েছে আওয়ামীলীগ নেতাদের নির্দেশে। ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলার ঘটনা তদন্তে কোনভাবেই তারেক রহমানের নাম ছিল না।
কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর তাদের আজ্ঞাবহ অবসরপ্রাপ্ত একজন সরকারী দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে গণভবনের নির্দেশে তারেক রহমানের নাম জড়ানো হয়েছে। উক্ত মামলার বিচার কার্যের সময় কোন স্বাক্ষী একবারের জন্যও তারেক রহমানের নাম উচ্চারণ করেননি। বরঞ্চ মুফতি হান্নানকে ৪১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে অকথ্য নির্যাতনের মাধ্যমে তারেক রহমানের নামে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে যেন কেউ আর এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করতে না পারে সেইজন্য মুফতি হান্নানকে অন্য একটি মামলায় দ্রুততার সাথে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। যা ন্যায় বিচারের পরিপন্থি।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে রায় দেয়া হয়েছে তা বর্তমান সরকার প্রধানের ইচ্ছার প্রতিফলন। বিচারককে জিম্মি করে ও স্বপরিবারে প্রাণনাশের হুমকীর মাধ্যমে এ রায় সরকার দলীয় নেতাদের হাতে লিখে দেয়া হয়েছে বলে আমরা মনে করি। আইনমন্ত্রী এবং আইন সচিবের হস্তক্ষেপ ছাড়া আদালতে কোন রায় দেয়া যায় না। যার প্রমাণ আমরা সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিভিন্ন বক্তব্যে দেখেছি। তাই আমরা বলতে পারি আওয়ামীলীগ সরকারের আজ্ঞাবহ আদালতের মাধ্যমে গণভবনের প্রেসক্রিপশনে দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে ফরমায়েশী রায় দেয়া হয়েছে তা এদেশের জনগণ কখনই মেনে নেবে না। তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার আওয়ামী ষড়যন্ত্র দু:স্বপ্নে পরিণত হবে। জনগণ আজ প্রতিবাদমূখী। আওয়মীলীগের নির্যাতন নিষ্পেশনের মুখে জনগণ রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। এ জনস্রোত ঠেকানোর সামর্থ্য আওয়ামীলীগের নেই। তাদের সকল ষড়যন্ত্রকে পদদলিত করে তারেক রহমান অতি শ্রীঘ্রই বাংলাদেশের জনগণের কাছে বীরের বেশে ফিরে আসবেন। আজ ১৫ অক্টোবর সোমবার বিকাল ৪ টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক ফরমায়েশী রায় প্রদানের প্রতিবাদে রাঙামাটি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাঙামাটি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাছের ও সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেনে প্রিয়তোষ দেওয়ান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মোঃ সিরাজ, সদর থানা স্বেচ্ছোসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন। পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল ও রাঙামাটি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশের পূর্বে বিক্ষোভ মিছিল কাকুলি সিনেমা হল থেকে শুরু হয়ে কাঁঠালতলিস্থ বিএনপি অফিসের সামনে এসে শেষ হয়।
বার্তা প্রেরক- সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক
জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দল, রাংগামাটি জেলা শাখা।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান।