ইসলাম ও কোরআন নিয়ে গবেষণা করে লব্ধ জ্ঞান মানব কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে>> শিক্ষা মন্ত্রী

334

: চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম বিভাগের ১০টি মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে উল্লেখ করেশিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কোরআনের আলোকে ইসলাম নিয়ে গবেষণা করে এ থেকে লব্ধ জ্ঞান মানব কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, কিছু মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য ইসলামকে বিতর্কিত করছে। কাউকে খুন বা বোমা মেরে নয়, জ্ঞান অন্বেষণ, গবেষণা ও জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শনিবার চট্টগ্রামের এন. মোহাম্মদ কনভেনশন সেন্টারে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ‘মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। মাদরাসা শিক্ষা দিন দিন আধুনিকীকরণ হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে এখন মাদরাসা শিক্ষার্থীদেরও পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।

ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে ৫ হাজার ৫শ’টি মাদরাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, ৯ হাজার ৪শ’টি মাদরাসায় ডায়নামিক ওয়েব পোর্টাল খুলে দেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট ও ডিজিটাল বই তৈরী করার কাজ চলছে। সকল মাদরাসাকে ই-সেবা দেওয়ার কাজ চলছে। এর ফলে মাদরাসা শিক্ষকদের আর শিক্ষা বোর্ডে যেতে হবে না। নৈতিক শিক্ষার মূল ভিত্তি হচ্ছে ইসলাম উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, এ কারণেই আওয়ামী লীগ সরকার ১ হাজার ১৩০টি মাদরাসা ভবন নির্মাণ করেছে।

শিক্ষানীতিতেও এ শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০টি মাদরাসায় অনার্স কোর্স চালুু করা হয়েছে। আলাদা আলাদা মাদরাসা অধিদপ্তর করা হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচকর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেন, মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে দীর্ঘ ১০০ বছরের যে চাওয়া ছিল, সে লক্ষ্য পূরণে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ সভাপতির বক্তৃতায় কুরআন শিক্ষার আলোকে জীবনযাপন ও এ শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প ও কর্মসূচীর কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ তাঁর সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান এবং মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে আরো সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এর মহাসচিব মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর এ. কে. এম ছায়েফ উল্যা বক্তব্য রাখেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন, চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সেকান্দার চৌধুরী, চবি রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল হুদা, যুগ্ম-সচিব নাজমুল হক, প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা, প্রফেসর ড. শিরীন আখতার এবং ৩১০টি ফাযিল ও ৫৩টি কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ফাহাদ আহমদ মোমতাজী এবং দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার ড. এম. আবু হানিফা।