উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বৃষ কেতু চাকমা : পর্যটন শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় অপরিকল্পিত স্থাপনা বন্ধ করতে হবে

240

p.1-3

স্টাফ রিপোর্টার, ১ মার্চ ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা রাঙামাটি শহরের অপরিকল্পিত স্থাপনা বিশেষ করে এক শ্রেণীর অতিলোভি দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা এই শহরের সৌন্দর্যকে অনেকাংশে ম্লান করে দিচ্ছে। এখন সময় এসেছে এ ধরণের অপরিকল্পিত স্থাপনা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের। এই মত ব্যক্ত করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, সকলে সম্মিলিতভাবে এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হবে। তিনি জেলার সার্বিক কল্যাণে সকল সচেতন নাগরিককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উন্নয়ন কমিটির সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার সময় এই মত প্রকাশ করেন তিনি।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ তানভীর আজম ছিদ্দিকী বলেন পর্যটন নগরী হিসেবে শহরের সৌন্দর্য রক্ষা করার জন্য অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করার কোনো বিকল্প নেই। তিনি এ  বিষয়ে যে কোন তথ্য পুলিশ কন্ট্রোল রুমে অথবা সরাসরি পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করার অনুরোধ জানান। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ তানভীর আজম ছিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চিত্ত রঞ্জন পাল, পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ’সহ জেলার বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, কমিটির সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, সম্প্রতি দুর্গোৎসবে ঘন ঘন বিদ্যুৎতের লোড শেডিংএর পরও পুলিশ বিভাগ জনগণের নিরাপত্তায় সব সময় নিয়োজিত ছিল। এর ফলে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যে কোন ধরনের উদ্ভুত পরিস্থিতি ও আইন শৃংখলার প্রয়োজনে সরাসরি পুলিশ বিভাগকে ফোনে জানানোর অনুরোধ জানান তিনি। রাঙামাটি সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, কলেজের শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় একটি গেইট করা হবে। এ বিষয়ে পরিষদের সহযোগিতা চেয়ে একটি পত্র প্রেরণ করা হয়ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ উন্নয়নের জন্য নতুন ডিপিপি প্রস্তুত করা হয়েছে। মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন এর কর্মকর্তা জানান, কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানা অপসারণের বিষয়ে গতকাল পরিষদে একটি সভা করা হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগকে সাথে নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে এ জেলার প্রত্যেক উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমানে খাদ্য মজুদ রয়েছে এবং বর্তমানে জেলা খাদ্য গুদামে ৩হাজার ৫শত মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ আছে। জেলা ইক্ষু গবেষণা ইন্সটিটিউট এর কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে ৭৪টি প্রদশর্নী প্লট রয়েছে এবং দুর্গম জুরাছড়ি উপজেলা থেকে বিষমুক্ত আখের গুড় সংগ্রহ করা হয়েছে। আগ্রহীরা ক্রয় করতে চাইলে জেলা ইক্ষু গবেষণা ইন্সটিটিউটে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান তিনি।

পোস্ট করেনন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান