‘এই সেই রমেল চাকমা’: এই আমাদের উপজাতীয় ছাত্র সমাজ

630

শামীমুল আহসান- ২৫ এপ্রিল ২০১৭, দৈনিক রাঙামাটি (বিশেষ প্রতিবেদন): পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে মনোনিত জাতীয় সংসদের সংরক্ষির মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু তার ফেইজবুক পেইজে পোষ্ট দেয়া একটি ছবিটির ক্যাপশন লিখেছেন- ‘এই সেই রমেল চাকমা’। এর আগে ফেইজবুকে রমেলের ছবি দেখে সত্যি মর্মাহত হয়েছি। ফলে দৈনিক রাঙামাটির এই অনলাইন ভার্ষনে এ ঘটনার প্রতিবাদি সংবাদ প্রকাশ করেছি। যারা এ প্রতিবাদকে নাটক বলেছেন, তাদের সংবাদ এড়িয়ে গেছি। কিন্তু হতবাক হয়েছি মাননীয় সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনুর পোষ্টটি দেখে। ছবিটিতে রমেলসহ অন্য দুজন কিশোর রয়েছেন, তাদের হাতে রয়েছে একে- ৪৭ রাইপেল। ১০/১১ বছরের এক কোমোল শিশুর হাতেও রয়েছে একটি একে- ৪৭ রাইফেল। ছবিতে ৩/৪ বছরের এক অবুজ শিশুর গলায় ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে একটি সয়ংক্রিয় অস্ত্র। যার ভারে শিশুটি নুয়ে গেছে। ছবিতে মনে হয়েছে মৃত রমেল চাকমা এই বহিনীর কমান্ডার। পুরো রাঙামাটি জেলায় সন্ত্রাসী তান্ডব চালানোর জন্য ছবিতে প্রদর্শীত এই পাঁচটি অস্ত্রই যথেষ্ট।

ধন্যবাদ জানাই মাননীয় সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনুকে। তিনি ছবিটি পোষ্ট না করলে জানতে পারতাম না, কেন পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর অবস্থান প্রয়োজন। কেননা, এক রমেলের অস্ত্র ভান্ডারে যে অস্ত্র রয়েছে তা প্রতিহত করতে রাঙামাটি পুলিশ প্রশাসন কতটা সক্ষম তার প্রমান আমার কাছে আপাতত নেই। তবে, আমাদের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে এরকম শত শত রমেলদের সমন্নায় গঠিত ইউপিডিএফ- সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে রাঙামাটি জোন কমান্ডাকে নয়; অবশ্যই খোদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষকেই ভাবতে হবে।

এবছর ২৩ জানুয়ারি রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে দুইটি ট্রাকে আগুন দেবার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ব্যাক্তি রমেল চাকমা। ৫ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে নানিয়ারচর টিএন্ডটি বাজার এলাকা থেকে নিরাপত্তা বাহিনী তাকে আটক করে। পর দিন ৬ এপ্রিল থেকে অসুস্থতার কারনে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বুধবার ১৯ এপ্রিল দুপুরে তিনি মারা যান।
রমেল চাকমার এই অস্বাভাবিক মৃত্যু আমাদের কাম্য নয়। তবে, ১২দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার সঠিক চিকিৎসা হয়েছে কিনা সে রহস্যের তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ, রমেল চাকমা বেঁেচ থাকলে তার কমান্ডে মজুদ ভয়ঙ্কার সে অস্ত্রগুলো উদ্ধার হতো এবং সংগ্রহিত অস্ত্রের উৎস খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। (অসমাপ্ত)

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান