॥ জুরাছড়ি প্রতিনিধি ॥
এই আধুনিক যুগে এসেও অর্ধশতাব্দী পিছনে রয়ে গেছে রাঙামাটির দুর্গম উপজেলা জুরাছড়ির মানুষ। তাদের যোগাযোগের জন্য নেই প্রয়োজনীয় সড়ক, নেই ব্রীজ বা নেই কোনো নৌযানও। তাই কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে গেলে প্রতিবছর এভাবেই বাঁশের ভেলা দিয়ে পারপার হতে হয় গ্রামবাসীদের। এভাবেই চলে আসছে স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী।
এই ভোগান্তি জুরাছড়ি উপজেলাধীন ১নং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে ডেবাছড়া এলাকায় মেম্বারপাড়াবাসীর। এই গ্রামে প্রায় ৮০ পরিবারের মত বসবাস, তারা দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধিদের দাবী জানিয়ে আসছে যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি ব্রিজের জন্য। কিন্তু দাবি পুরণে এগিয়ে আসেনি কোনো কর্তৃপক্ষ।
মেম্বারপাড়া গ্রামের এক বৃদ্ধ বলেন,পনের বছর ধরে এই ব্রিজটির কথা শুনতেছি,জানিনা আমি জীবিত থাকাকালীন সময়ে ব্রিজটি দেখে যেতে পারব কিনা। স্থানীয় গ্রামবাসী প্রেমরঞ্জন চাকমা জানান, বর্ষার মৌসুমে পানি ভরপুর হলে আমাদের বাশেঁর ভেলা তৈরী করে এভাবে গ্রাম থেকে পারাপার হতে হয়। ব্রিজটি নির্মিত হলে এলাকার ছেলেমেয়েরাও নিরাপদে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারবে।
ইউপি সদস্য বিরঙ্গ মোহন চাকমা জানান, প্রতি বছর এ সময়ে গ্রামবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই,মাত্র দুই থেকে তিন মাস পায়ে হেঁেট গ্রামবাসীরা চলাচল করতে পারেন। অবশিষ্ট মাসগুলো এভাবে আমাদের বাশেঁর ভেলা দিয়ে যাতায়াত করা লাগে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা জানিয়েছে,ব্রিজের বিষয়টি নিয়ে আমিও জ্ঞাত রয়েছি,এবিষয়ে উপজেলা পরিষদ কে অবগত করা হয়েছে। তিনি ও চাই ব্রিজটি নির্মিত হলে গ্রামবাসীদের যাতায়াতের সুবিধার পথ সুগম হবে।
জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, উন্নয়নের ক্ষেত্রে জুরাছড়ি উপজেলা এখনো অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। আগামীতে পি আইও অফিস থেকে ব্রিজটি করা যায় কিনা চেষ্টা করা হবে। এছাড়াও তিনি জানান, রাস্তা,কালভার্ট,বিজ্র নির্মাণ করতে হলে জেলা পরিষদ এবং উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভবহীন। তাই জুরাছড়ি ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে পার্বত্য মন্ত্রনালয় ,জেলা পরিষদ এবং উন্নয়ন বোর্ডের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।