এলাকাবাসির আপত্তির মুখে কাউখালীতে নতুন ইটভাটা স্থাপনের উদ্যোগ

540

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

এলাকাবাসির আপত্তি সত্ত্বেও কাউখালী উপজেলায় কলমপতি ইউনিয়নের বড়ডুলুপাড়ায় পরিবেশ আইন বিরোধী ইটভাটা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে একটি মহল। সরকারি সংরক্ষিত বনের কাছাকাছি এই ভাটা গড়ে তুলে মহলটি সংরক্ষিত বনের গাছ উজাড়ের পায়তারা করছে বলেও অভিযোগ করে এলাকাবাসী। তারা জানায় পাহাড় কেটে ইট বানানোর সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রশসনিক পদক্ষেপ না থাকায় এভাবে ওই উপজেলায় একের পর এক পরিবেশ আইন বিরোধী ইটভাটা গড়ে উঠছে। যা এলাকার পরিবেশ বিষাক্ত করে তুলছে। ইটভাটা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য এলাকার মানুষ ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি আবেদনও দাখিল করে বলে জানায় তারা।

এলাবাসী জানায় জনগণের আপত্তি সত্ত্বেও একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট অবৈধ ভাবে এই ইটভাটা স্থাপননের পায়তারা করছে। গণদাবি উপেক্ষা করে এটি স্থাপন করা হলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানায় তারা।

সুত্র মতে কাউখালী উপজেলার ৪নং কলমপতি ইউনিয়নের বড়ডুলুপাড়া, ছোটডুলুপাড়ায় এই ইটভাটা স্থপনের বিষয়ে এলাকাবাসীর বাধার কারনে এই মহলটি পুর্বে ঐ এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করতে পারেনি। এখন আবার এই চেষ্টা চালাচ্ছে।

এলাকাবাসি গত ৬ আগষ্ঠ রাঙামাটি জেলা প্রশাসক বরাবরে ১১৭জনের স্বাক্ষরে ইটভাটা বিরুদ্ধে লিখিত আবেদন করেন। এলাকাবাসির স্বাক্ষরিত লিখিত আবেদনে এলাকাবাসি উল্লেখ করেন কলমপতি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চাইথোয়াই প্রু মারমা, য়্যংশিউ মারমা, অস্থমিত্র চাকমা সহ কয়েক জনের কৃষি জমির উপর জৈনিক পাইসা মং মেম্বারের সার্বিক সহায়তায় এবং স্থানীয় কিছু লোকের সহায়তায় মোঃ আলমগীর নামক ব্যাক্তি গংয়ের মালিকানায় একটি নতুন অবৈধ ইটভাটা স্থাপনের জন্য বড়ডুলু, ছোটডুলু পাড়ায়  অফিসঘর, শ্রমিকদের থাকার জন্য ঘর, ইটভাটার জন্য নতুন ছিমনি আনেন।

এলাকাবাসি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন কিন্তু কিছুই হয়নি। এই এলাকায় ইটভাটা হলে এলাকার শান্তির পরিবেশ বিনষ্ঠ হবে, বন উজার হবে, ১৯৮০ ও ১৯৯৯ ইং সালে এই এলাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙার মতো ঘটনা ঘঠতে পারে এবং এলাকায় শান্তি শৃংখলা বিনষ্ঠ হতে পারে সেই সাথে ২০১৩ ইং সালে ঐ এলাকায় থুইমাচিং মারমা নামক ৮ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছিল বলে এলাকাবাসি রাঙামাটির জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদনে উল্লেখ সহ নতুন ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য উল্লেখ করেন।