এ বছর রাজস্থলীতে ৪টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব

121

॥ আজগর আলী খান ॥

সনাতনী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঘিরে রাজস্থলীতে এখন সাজ সাজ রব। পুরোদমে প্রস্ততি শুরু করেছে রাজস্থলীর পূজামন্ডপ কমিটির সদস্যরা। ইতোমধ্যে মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা তৈরির প্রায় শেষ করে এনেছেন। এখন চলছে তুলির আঁচড়।

আগামী ১৪ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে মহামায়ার শুভাগমনের বার্তা ধ্বনিত হবে। হিন্দুদের ধর্মীয় ভাষায় মৃন্ময়ী মাকে চিন্ময়ী রূপে দর্শনের আহবানে ২০ অক্টোবর দেবী দুর্গার বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে সনাতনী সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গা পূজা।

রাজস্থলী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মিঠুল চন্দ্র দে বলেন, এই বৎসর রাজস্থলীতে আরেক টি নতুন পূজা মন্ডপ হয়ে ৪ টি পূজা মন্ডপে অনুষ্টিত হবে শারদীয়া দুর্গোৎসব। এছাড়াও প্রতি বছরের ন্যায় বিজয়া দশমীর দিন কর্ণফুলী নদী মোহনায় নৌ র‌্যালীর মাধ্যমে প্রতিমা নিরঞ্জন হবে।

রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া শিব মন্দির কমিটির সভাপতি পুলক চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে রাজস্থলী উপজেলার ৪টি পূজা মন্ডপ স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বাঙালহালিয়া বাজার কেন্দ্রীয় শ্রীশ্রী দক্ষিনেশ্বর কালি মন্দিরের পুজা কমিটির সভাপতি সুমন দে বলেন, ইতিমধ্যে এই মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ পুরোদমে চলছে। আমাদের পূজা মন্ডপের এইবারের থিম ‘পদ্ম ধরণী’। মা দুর্গার চিরন্তন পছন্দনীয় পুষ্প হলো পদ্ম। এই লক্ষ্য সামনে রেখে আমরা মায়ের মন্ডপ সাজানোর চেষ্টা করছি।

রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ বলেন, পূজায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটা মন্দিরেই থানা পুলিশের পাশাপাশি আনসার, গ্রাম পুলিশের স্বেচ্ছাসেবক দল ও মোবাইল টিম মাঠে থাকবে। এছাড়া প্রতিটি মন্দির কমিটির স্বেচ্ছা সেবকরা সমন্বিতভাবে পূজা মন্ডপে আনসার ও পুলিশকে সহায়তা করবেন। দেবী বিসর্জন পর্যন্ত সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে উপজেলা প্রশাসনের । সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে তাঁদের অন্যতম সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা আনন্দের মধ্যে দিয়ে সুন্দর ভাবে উদযাপন করতে পারে সেদিকে পুলিশ এর পক্ষ হতে সার্বক্ষনিক মনিটরিং এর ব্যবস্থা করা হবে।উপজেলা পরিষদের কন্টোল রুম খোলা হয়েছে।