ঐতিহ্যবাহী কর্ণফুলি স্টেডিয়াম নদী গর্ভে বিলীন হবার পথে

608

॥ কাপ্তাই প্রতিনিধি ॥

ক্রীড়ায় সমৃদ্ধ হিসাবে জেলার মধ্য বিখ্যাত কাপ্তাই এর ঐতিহ্যবাহী কর্ণফুলি স্টেডিয়াম এখন নদী গর্বে বিলীনের মুখে। রোববার সরেজমিন গেলে দেখা যায়, স্টেডিয়ামের দক্ষিন অংশ যেদিকে কর্ণফুলি নদী আছে সেই অংশ নদী গর্ভে বিলীন হতে যাচ্ছে, এছাড়া স্টেডিয়ামের পশ্চিম অংশের গোল বারের কাছাকাছি ইতিমধ্যে মাটি দেবে কর্ণফুলি নদীর দিকে চলে গেছে। ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত  তদান্তিন ৬৫ ব্রিগেড এর ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার কাজী মাহামুদ হাসান ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করেন। এই স্টেডিয়াম এ খেলাধূলা চর্চা করে জাতীয় দল এবং দেশের নামকরা ফুটবল দলগুলোর হয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন শাহানেওয়াজ উদ্দিন টিপু, আসলাম খাঁন,বিপ্লব মার্মা, জনি লুসাইসহ সাবেক অনেক ফুটবলার।

উপজেলার বিভিন্ন জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজ এবং বিভিন্ন টুর্নামেন্ট এই স্টেডিয়াম এ হয়ে আসছে। তাই এই স্টেডিয়ামকে বাঁচানোর জন্য বর্তমান এবং সাবেক ফুটবলার ও ক্রীড়ামোদী দর্শকরা সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন। কাপ্তাই উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম এই প্রতিবেদকে জানান ইতিমধ্যে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিবের নিকট আবেদন করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন অচিরেই এই স্টেডিয়াম এর সংস্কার কাজ শুরু হবে।

কাপ্তাই উপজেলা আ’লীগ সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইছাইন চৌধুরী জানান সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের সুপারিশ নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিবের নিকট কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের একটি চিঠি দুই একদিনের মধ্যে পাঠানো হবে। তিনি খেলাধুলার স্বার্থে এই স্টেডিয়ামকে বাঁচানো বলে মতামত প্রদান করেন। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে কাপ্তাই উপজেলার ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্বপালনকারী সাবেক কৃতি ফুটবলার এবং রেফারি শাহাবুদ্দীন আজাদ জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্টেডিয়াম নির্মাণ এর অংশ হিসাবে বর্ষা মৌসুম শেষে এই স্টেডিয়ামটি সংস্কার কাজ শুরু হবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফুটবল কোচ এবং রেফারি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল জানান, স্বনামধন্য এই স্টেডিয়াম থেকে জাতীয় মানের অনেক ফুটবলার সৃষ্টি হয়েছেন,তাই ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামকে নদী গর্ব হতে বাঁচাতে হলে মাঠের যেই অংশে কর্ণফুলি নদী আছে সেই অংশে ধারক দেওয়াল নির্মাণ করতে হবে, তিনি জানান মাঠের কারনে আন্ত:ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করা যাচ্ছে না।

৮০ এবং ৯০ দশকে মাঠ কাঁপানো কাপ্তাই এর কৃতি ফুটবলার আসলাম খান, প্রভাত বড়ুয়া, সন্তোষ দাশ,বিপ্লব মার্মা সরকারের কাছে ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামকে বাঁচানোর আহ্বান জানান। কাপ্তাই ক্রীড়া অঙ্গনের অত্যন্ত পরিচিত মুখ কোচ মাহাবুবুল হাসান বাবু, ক্রীড়া সংগঠক দীপক কুমার ভট্রাচার্য্য,কল্যান তংচংগ্যা সহ অনেক ক্রীড়ামোদী দর্শক কর্ণফুলি স্টেডিয়ামকে রক্ষা করার জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।