‘কঠোর লকডাউন’ শুরু হবে ১জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে

348

॥ রাঙামাটি রিপোর্ট ॥

‘কঠোর লকডাউন’ শুরু হবে ১ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে। প্রাথমিকভাবে কঠোর লকডাউন থাকবে এক সপ্তাহ- শনিবার রাতে এ ঘোষণা দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার সরকারের উচ্চ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ভার্সুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সোমবার থেকে সারাদেশে ‘সীমিত পরিসরে লকডাউন’ হবে। এ সময় থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে গণ পরিবহন।

দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতে করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। শুক্রবার রাতে আসা ঘোষণায় সোমবার থেকেই তা শুরু হওয়ার কথা বলা হলেও, প্রজ্ঞাপন জারি করার আগেই সিদ্ধান্তে সামান্য পরিবর্তন আনার ঘোষণা এলো। জানা গেছে অর্থবছরের শেষ সময় হওয়ায় সিদ্ধান্তে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

কঠোর লকডাউনে সব ধরনের সরকারি-–বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের গাড়ি চলাচলও বন্ধ থাকবে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। শুক্রবার রাতে সরকারের এক তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। এ সময় জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। গণমাধ্যম এ বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে বলে তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়েছে। তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, কঠোর লকডাউনের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এবার লকডাউনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে আগের বারের চেয়ে বেশি কড়াকড়ি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে গার্মেন্টসসহ সব ধরনের রপ্তানিমুখী শিল্প কলকারখানা, হিসাব বিভাগের সব অফিস, খাদ্যপণ্য পরিবহন, কৃষি, পোল্ট্রিসহ প্রাণীসম্পদের যানবাহন, ওষুধ, হাসপাতাল ও চিকিৎসা সেবা, গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্তদের চলাফেরায় কোনো বাধা থাকবে না।

প্রবাসীদের মধ্যে যাদের বিমান টিকিট থাকবে তাদেরও চলাচল অব্যাহত রাখার চিন্তা করছে সরকার। সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করলেও অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত লকডাউনের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ থাকবে।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন দেয়া হবে। এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। এরপর প্রয়োজন হলে সেটা বাড়ানো হবে। এটা যেন কঠোরভাবে সবাই প্রতিপালন করে সেজন্য বেশি কড়াকড়ি থাকবে। এটি নিশ্চিতে মাঠে পুলিশ-বিজিবি থাকবে। এমনকি সেনাবাহিনীও থাকতে পারে। মানুষ অপ্রয়োজনে বাইরে আসবে না, অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে।