করোনা আক্রান্তের হার কিছুটা কমলেও আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবেঃ দীপংকর

312

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার কিছুটা কমলেও এখনি আত্মতুষ্টিতে ভুগে অসতর্ক হওয়া যাবে না। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি। খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় রাঙামাটিতে পিসিআর ল্যাব স্থাপিত হওয়ায় এলাকার জনগণ তাৎক্ষণিকভাবে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাচ্ছে। তিনি এজন্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

করোনা ভাইরাস সংক্রামণ মোকাবেলায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাঙামাটির উদ্যোগে জেলার ১২টি সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন কালে রাঙামাটি আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ দীপংকর তালুকদার এ কথা বলেন।

রোববার সকালে জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাঙামাটি ইউনিট এর সভাপতি বৃষকেতু চাকমা। উদ্বোধনকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধমে ১২টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রকে সংযুক্ত করা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি এবং সভাপতি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১০ টি উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ষ্টাফদের সাথে আলাপের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলার করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতাব্বর, সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খিশা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাঙামাটি ইউনিট এর সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজুর রহমানসহ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাঙামাটি ইউনিট এর অন্যান্য সদস্যগণ।

বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে বরকল উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অসুবিধার কথা জানানো হলে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১টি জেনারেটর দেওয়ার আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলার ১২টি সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিকট সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। সরবরাহকৃত সরঞ্জামাদির মধ্যে ছিল ঃ কিওরিন (এইচটিএইচ) ৬০ থেকে ৭০% ৪৫ কেজি ড্রাম -৩টি, গ্লোভস-৪৮০ জোড়া, প্রতিরক্ষামূলক বস্ত্র -৭৪০টি, সার্জিকাল ডিসপোজেবল গাউন- ১,১১০টি, গাম বুট-১১০ জোড়া, ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের কাগজের চামচ -৫৯৫টি, মাস্ক (সার্জিকাল টাইপআইআই) -১৪,৮০০টি, গোগলস/ ফেস শিল্ড -৫৫টি ওয়ান টাইম কাপড়ের ডাস্টার-৩,৬০০টি, এমটি ড্রাম (১০০লিটার) ৩৬টি, কন্টেইনার(১)- ৮৮টি. কনটেইনার(২) -১২টি এবং এমওপি-১২০পিস।