কাউখালী প্রতিনিধি, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : কাউখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জুয়েলকে শারীরিক নির্যাতন ও মোটরসাইকেলসহ বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এক শালিশী বৈঠকে ঘটনার সমাধান হয়। হামলাকারী মেহেদী হাসান সানি ও মো. মাহফুজ দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান। ভাংচুরের ক্ষতিপূরণেরও দায়িত্ব নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ সরকার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌচামং(এসএম) চৌধুরী, ইউএনও আফিয়া আখতার, থানার ওসি আব্দুল করিম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ সরকার, কাউখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফুল হক মাহবুব, সহসভাপতি ওমর ফারুক, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন।
ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ ও এলাকার শান্তিশৃঙখলা স্থিতিশীল রাখতে উভয় পক্ষকে নিয়ে এই সালিশি বৈঠকের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আমাদের সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন উপজেলা সদররের রিক্সস্ট্যান্ড এলাকায় মাহফুজ ও মেহেদি হাসান দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার পথে একটি সিএনজি অটোরিক্সাকে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজি ড্রাইভারের সাথে বাক বিতন্ডা শুরু হলে মুহুর্তেই লোক জমায়েত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বিশৃংখল হতে দেখে লোকজনের ভেতর এত জোড়ে গাড়ী চালানো ঠিক না বলায়; মোটসাইকেল আরোহী দুজনই জুয়েলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
পরে প্রেসক্লাব থেকে রাত পৌনে আটটার দিকে জুয়েল পোয়াপাড়া বাড়ীর গেইটে পৌঁছানোর সাথে সাথে মাহফুজ ও মেহেদী তাদের ৫/৬ জন সহযোগীকে নিয়ে অতর্কিত ভাবে পেছন দিক থেকে বাঁশের লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। আঘাতে মোটরসাইকেলসহ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জুয়েল দ্রুত ঘরের মধ্যে আশ্রয় নেনে।
এসময় মোটরসাইকেলটিও ভাংচুর করে হামলাকারীরা। প্রাণ ভয়ে ঘরের শিশু ও মহিলারা চিৎকার করে সাহায্য চাইতে থাকলে হামলাকারীরা বড় বড় ইট ছুড়ে ঘরের চালা ও বেড়া ভাংচুর চালায়। এতে সন্ত্রাসীদের ছোড়া ইটের আঘাতে কম্পিউটার, প্রিন্টারসহ ঘরের মূল্যবান জিনিষপত্রের ক্ষতি হয়। ভাংচুরের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পোস্ট- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান