কাপ্তাইয়ের রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ক্যান্সার প্রতিরোধী টক আতাফল চাষে সফলতা

303

॥ অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই ॥

কাপ্তাই উপজেলাধীন রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ক্যান্সার প্রতিরোধী টক আতা ফল চাষে সফলতা পাওয়া গেছে। এছাড়া ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানে চাষকৃত এই অপার সম্ভাবনাময় ফলটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
ক্যান্সার প্রতিরোধক এই টক আতার উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ আমেরিকা। কাপ্তাই কৃষি গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গত ৪ বছর পূর্বে চারা এনে লাগানো হয় রাইখালী কৃষি গবেষণা ফার্মে। ২ বছর হচ্ছে গাছ গুলোতে ফল ধরতে শুরু করেছে। এক একটি গাছে ১৫ থেকে ২০টি ফল ধরে। যার প্রতিটির ওজন প্রায় ১ কেজির মতো। এই ফলটি দেখতে খুব সুন্দর এবং সারা গায়ে খাঁজ কাটা থাকে। টক আতার গায়ের রং কাঁচা অবস্থায় সবুজ আর পাকা অবস্থায় হালকা হলুদ-সবুজের মিশ্রণে তৈরী হয়। এ ফলটি সর্সপ, গ্রিভিওলা, ক্যাস্টার্ড আপেল, পাউপা, গায়াবানো এবং গুনাবান নামেও পরিচিত।

বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ এই টক আতা ফল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া টক আতা ফল এবং এর গাছের পাতা ও বাকলের রস মরণব্যাধি ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে বলে গবেষণায় জানা যায়। শুধু তাই নয়, এই গাছের পাতা নিয়মিত সিদ্ধ করে খেলে ব্লাড সুগার কমে, হাইপারটেনশন থেকেও মুক্তি মেলে বলে জানা গেছে।

কাপ্তাই রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আলতাফ হোসেন জানান, এই ফলটি বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক ভাবে গত পাঁচ বছর ধরে উক্ত কেন্দ্রে পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং এটি ক্যান্সার প্রতিরোধক একটি ফল হিসেবেও সকলের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। তাই এই কেন্দ্র থেকে গবেষণা করে যদি অপার সম্ভাবনাময় এ ফলটির একটি জাত উদ্ভাবন করা যায় এবং সেই জাতটি পাহাড়ের বিভিন্ন ফল বাগানে সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষকরা ব্যাপকভাবে লাভবান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।