কাপ্তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা থেকে রেজিস্ট্রশেন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় টিকার চাহিদা পত্র দেওয়া হলে এর বিপরীতে প্রাপ্ত টিকা উল্লেখিত পরিমাণ মানুষকে দেওয়া হয়। প্রাপ্ত টিকার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং নতুন টিকার চালান না আসায় বর্তমানে এধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা টিকার ২য় ডোজ নিতে আসা বেশির ভাগ গ্রহীতা টিকা দিতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তারা আদৌ এই টিকার ২য় ডোজ দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে হতাশায় ভুগছে।
যোগাযোগ করা হলে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও করোনার ফোকাল পারসন ডাঃ ওমর ফারুক রনি জানান, কাপ্তাইয়ে টিকার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং নতুন টিকার চালান না আসায় করোনার ২য় ডোজ নিতে আসা ব্যাক্তিরা টিকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। অনেকে মুঠোফোনে জানতে চাইলেও এব্যাপারে কোন উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এছাড়া এসকল টিকা গ্রহীতাগণ কখন ২য় ডোজের টিকা দিতে পারবে সেবিষয়েও নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা।
তিনি আরো বলেন, করোনার ভ্যাকসিনের ১ম ডোজটি দেওয়া হয়েছিলো ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। কিন্তু বর্তমানে যে ভ্যাকসিনটি আনা হয়েছে সেটি চীনে উৎপাদিত সিনোফার্স ভ্যাকসিন। তাই ১ম ডোজ দেওয়া ব্যাক্তিরা ২য় ডোজে এই টিকা নিতে পারবে কিনা সে বিষয়েও তারা অবগত নয়।
এদিকে, কাপ্তাইয়ের করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে অন্যান্য উপজেলার তুলনায় কাপ্তাইয়ে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা ভালো। এ উপজেলায় মোট ১শ’ ৮৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলেও বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে মাত্র ৩ জন। বাকী ১শ’ ৭৮ জন সুস্থ হয়ে গেছে। কাপ্তাইয়ে করোনা সংক্রমিত হয়ে এ পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক।