কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানা নিয়ন্ত্রণে শীঘ্রই প্রকল্প গ্রহণ করছে জেলা পরিষদ

279

p.1-2

 
স্টাফ রিপোর্টার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : রাঙামাটি জেলার পাঁচ উপজেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র পথ কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানা অপসারণে শীঘ্রই প্রকল্প গ্রহণ করছে রাঙামাটি জেলা পরিষদ। যোগাযোগ পথ ছাড়াও কাপ্তাই হ্রদের মাধ্যমে লক্ষাধিক মানুষের জিবীকার সংস্থান হয়ে থাকে। এই হ্রদ দিয়ে রাঙামাটি জেলার বেশির ভাগ জোতের গাছ বাজার জাতকরণের উদ্দেশ্যে পরিবহন করা হয়। এই হ্রদের মাছ আহরণ করে বেঁচে থাকে অর্ধলক্ষ জেলে পরিবার। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবত কাপ্তাই হ্রদে কচুরী পানার জঞ্জালের কারণে জন দুর্ভোগ চরম উঠেছে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত নানামুখি গবেষণা চালানো হয়। এক পর্যায়ে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠায় জেলা পরিষদ।

জানা গেছে কিছুদিন পূর্বে প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে এই প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা উত্থাপিত হলে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে তার আন্তরিকতার কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই মুলত সহসাই প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। তবে কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানা অপসারণের মাধ্যমে জনগণের দুর্দশা লাঘবের জন্য প্রাথমিকভাবে একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এই প্রকল্পের গতি পর্যালোচনা করে প্রকল্পের অভিজ্ঞতার আলোকে পরবর্তীতে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প প্রণয়ন করা হবে। কাপ্তাই হ্রদ দূষণমুক্ত রাখা, কচুরিপানা নিয়ন্ত্রণ এবং ‘হ্রদের সার্বিক পরিবেশ প্রতিবেশগত উন্নয়নের লক্ষ্যে করণীয়’ নির্ধারণে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভাটি বুধবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে  অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় চেয়ারম্যান বলেন, কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানার কারণে এ জেলার উপজেলা থেকে উপজেলার যাতায়াত, রোগী আনা-নেয়া, কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। নৌ চলাচলের পথের কচুরিপানা অপসারণের জন্য মানুষকে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি সচেতন করতে হবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে পরিষদ, মৎস্য বিভাগ, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন, মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউট, কৃষি সম্প্রসারণ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিতে অনুষ্ঠিত সভায় পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ, নির্বাহী প্রকৌশলী কাজি আবদুস সামাদ, সিভিল সার্জন ডাঃ ¯েœহ কান্তি চাকমা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রমনী কান্তি চাকমা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবদুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের উপ ব্যবস্থাপক মাসুদুল আলম, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ফেরদৌসা বেগম, মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউটের কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাশার, পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় কাপ্তাই হ্রদ দূষণমুক্ত রাখা, কচুরিপানা নিয়ন্ত্রণ এবং তার সার্বিক পরিবেশ প্রতিবেশগত উন্নয়ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

পোস্ট করেনন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান