কাপ্তাই হ্রদের নীল জলরাশিতে ঐতিহ্যবাহি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা

364

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলে শেখ রাসেলের জন্মদিন ঘিরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা। পাহাড় ঘেরা রাঙামাটির স্রোতহীন পানিতে রোববার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ঘিরে আয়োজিত এ নৌকা-বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় ও রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে রোববার দুপুর ৩টায় এই প্রতিযোগীতা শুরু হয়। রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকায় হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় পাড়ে জমা হওয়া হাজারো দর্শক ছাড়াও কেউ নৌকা, কেউ বা বোটে আবার কেউ বা লঞ্চে করে কাপ্তাই হ্রদে নৌকা বাইচ উপভোগ করতে আসেন।

প্রতিযোগীতা শেষে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এনডিসি। অন্যান্যের মধ্যে রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার ইফতেখারুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আলম নিজামী, পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য হাজী কামাল উদ্দিন, সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, উন্নয়ন বোর্ডের উপসচিব প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, সদস্য-বাস্তবায়ন হারুন অর-রশিদ উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আহবায়ক হাজ্বী মোঃ মুছা মাতব্বর, অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম।

অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের ৫৬ তম জন্মদিন জন্মদিন উপলক্ষ্যে শিশুদের সাথে নিয়ে কেক কেটে খাইয়ে দেন জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ।

প্রতিযোগীতায় মহিলাদের বড় নৌকা প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন আলো ত্রিপুরা ও তার দল। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন মিতা ত্রিপুরাও তার দল। তৃতীয় স্থান অধিকার করেন সুমিতা ত্রিপুরা ও তার দল। পুরুষের বড় নৌকা প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন যুবরাজ ত্রিপুরা ও তার দল। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন সুবিল ত্রিপুরা ও তার দল। পুরুষদের সাম্পান প্রতিযোগীতায় প্রথম হয় জামাল ও ঝুলন্ত ত্রিপুরা। দ্বিতীয় হয়েছে মোঃ সুমন, তৃতীয় স্থান অধিকার করেন মো জামান।

নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় মহিলাদের কায়াক প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন তাপসি চাকমা। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন মিতা ত্রিপুরা। তৃতীয় স্থান অধিকার করেন সোনিয়া চাকমা ।

অনুষ্ঠানের শেষে প্রতিযোগীতায় মহিলাদের বড় নৌকায় প্রথম পুরুষ্কার ৫০,০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরষ্কার ৩০,০০০ টাকা, তৃতীয় পুরষ্কার ২৫,০০০ টাকা, পুরুষদের বড় নৌকায় প্রথম পুরুষ্কার ৫০,০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরষ্কার ৩০,০০০ টাকা, তৃতীয় পুরষ্কার ২৫,০০০ টাকা এবং সাম্পান ২জন বিজয়ীদের জন্য প্রথম পুরুষ্কার ১০,০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরষ্কার ৮,০০০ টাকা, তৃতীয় পুরষ্কার ৫,০০০ টাকা এবং কায়াক প্রতিযোগিতায় ২জন বিজয়ীদের জন্য প্রথম পুরুষ্কার ১০,০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরষ্কার ৮,০০০ টাকা, তৃতীয় পুরষ্কার ৫,০০০ টাকা তুলে দেন।