কাপ্তাই হ্রদের মাছ ধরা নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনে মত বিনিময়

305

॥ মাসুদ পারভেজ নির্জন ॥
কাপ্তাই হ্রদের জেলেদের কাছে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর চাদাঁ দাবিকে কেন্দ্র করে মাছ ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময় করেছে রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)। সভায় নির্ভয়ে এবং সাহাসের সাথে হ্রদে মাছ আহরণের আহ্বান জানিয়েছেন বিএফডিসি ব্যবস্থাপক লেঃ কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন জেলেদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাবতীয় নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। সাধারণ পুলিশ নৌ পুলিশ ও বিএফডিসি টিমের পাশাপাশি সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে। বুধবার সকালে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিএফডিসি ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পার্বত্য চট্রগ্রাম একটি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এখানে চুপ করে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। জেলেদের মাছ ধরতে নামতে হবে। এর পরে কেউ সমস্যা করতে আসলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সময় মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানায়, আমরা আমাদের লগ্নি নিয়ে চিন্তিত, জেলেরা পানিতে না নামলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। তারা বলেন, জেলেরা হয়তো অতীতের সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ডের ভয়ে মাছ ধরতে নামছে না। আর না হয় চাদাঁর দোহাই দিয়ে তারা নদীতে নামছে না। এ সময় সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ার পরও যে সকল জেলে মাছ ধরতে নামবে না তাদের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সভায় জেলেদের পাড়ার কার্বারি, হেডম্যানদের নিয়ে জোন অফিসে একটি সভা আয়োজন করা যায় কিনা খতিয়ে দেখা, প্রতিটি স্পটে যে সকল জেলেরা নিরাপত্তা ব্যবস্থার আশ্বাসেও হ্রদে জাল ফেলতে আগ্রহী নয় তাদের একটি তালিকা তৈরি করা ও সকল জেলেদের নিয়ে যেকরেই হোক একটি সভার আয়োজন করা যায় কিনা খতিয়ে দেখা এবং সকল ব্যবস্থা ব্যর্থ হলে জেলেদের প্রতি সওদাগরদের বিনোয়োগ করা টাকা আদায় করার জন্য দৃঢ় চাপ প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এসময় উপব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম, ফিস কালচারিস্ট ইসরাইল হক, রাঙামাটি জেলা বৃহত্তর কাপ্তাই হৃদ মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কবির আহমদ, সাধারন সম্পাদক মোঃ শুক্কুর, মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হারুন সওদাগর, সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া, মৎস্য ব্যবসায়ী সবুজ কুমার ত্রিপুরা, কামাল উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, নুরুল কবির সহ অন্যান্য মৎস্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।