কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলে বিজয় দিবসের নৌকা বাইচ

376

p...3 03

স্টাফ রিপোর্টার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : বিজয়ের আনন্দ আরো মূর্ত করে তুলতে পাহাড় ঘেরা রাঙামাটির স্বচ্ছ কাপ্তাই হ্রদে অনুষ্ঠিত হয়েছে উপলক্ষে নৌকা-বাইচ। মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত নৌকা বাইচ দেখতে শত শত নারী-পুরুষের ঢল নামে। কেউ নৌকা, কেউ বা বোটে আবার কেউবা লঞ্চে করে কাপ্তাই হ্রদে নৌকা বাইচ উপভোগ করতে আসেন।

প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন বলেন, নৌকা বাইচ গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেলা। যুগে যুগে গ্রাম বাংলায় এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। নৌকা বাইচ মানুষের জনপ্রিয় খেলা হিসেবে বিনোদন প্রদান করে। এ খেলাকে কেন্দ্র করে গ্রাম বাংলার সকল মানুষ একত্রে মিলিত হয়। তিনি আরো বলেন, রাঙামাটির মতো একটি পাহাড়ি অঞ্চলে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় শুনে এবং এ অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমার খুবই ভাল লাগছে। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আহবায়ক মুছা মাতব্বরের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মোঃ মোস্তফা জামান, রাঙামাটি সদর সার্কেল পুলিশ সুপার চিত্তঞ্জন পাল প্রমুখ।

সাম্পান প্রতিযোগিতায় যথারীতি ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকার করেন, জামাল হোসেন, মোঃ জসিম,মোঃ রুবেল। ছোট নৌকা প্রতিযোগিতায় যথারীতি ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকার করেন, মোঃ সুমন, বাবুল, মোঃ ফোরকান। মেয়েদের দলীয় বড় নৌকা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে অঞ্জনা ত্রিপুরার দল, ২য় স্থান অধিকার করে রওশনাআরার দল।

সামসুল আরেফিন আরো বলেন, রাঙামাটি একটি সমৃদ্ধসীল পর্যটন নগরী করা সম্ভব। যদি আমরা সকলে এ অঞ্চলের জন্য এক সাথে কাজ করি। আসুন রাঙামাটিকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এক সাথে কাজ করি। আজকে যারা নৌকা বাইচ প্রতিযেগিতায় ১ম, ২য়, ৩য় হয়েছেন তাদের অভিবাদন জানায় এবং যারা জিততে পারেনি তাদেরও শুভেচ্ছো জানায়। তিনি বলেন, আমি চাই বাংলার ঐতিহ্যর এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হোক। আর যারা অনেক কষ্ট করে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন তাদেরও অসংখ্য ধন্যবাদ ও সফলতা কামনা করছি এবং প্রতিবছর যেন নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করার মাধ্যমে বাংলার এ ঐতিহ্য শিল্পকে ঠিকিয়ে রাখে।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান