আলমগীর মানিক , ১১ ডিসেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : খেলাধুলা মানুষকে নির্মল আনন্দ দেয় এবং খেলাধুলার মাধ্যমেই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জন্মায়। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি খেলাধুলায় মনোনিবেশ করে শারিরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্য অর্জন সম্ভব। এমন মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি জেলার পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান। তিনি বলেন, মানুষের শরীরের জন্য যেমন বিভিন্ন ধরনের খাদ্য ও ভিটামিন জরুরি তেমনি তার আত্মার জন্যও বিনোদন, বিশ্রাম ও খাদ্য জরুরি। শরীরচর্চা ও খেলাধুলা নির্মল বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। খেলাধুলার মাধ্যমে প্রাপ্ত আনন্দ মানুষের মধ্যে হতাশা ও ব্যর্থতার গ্লানিসহ অন্যান্য নেতিবাচক অনুভূতিকে মন থেকে মুছে দেয়। আনন্দের অনুভূতি মানুষকে প্রশান্তি দেয় এবং মনকে সুস্থ ও সতেজ রাখে। যার ফলশ্রুতিতে মানুষ তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অগ্রসর ক্রমাগত হয়।
শুক্রবার রাঙামাটিতে আয়োজিত চট্টগ্রাম রেঞ্জ আন্ত:জেলা হ্যান্ডবল টুর্ণামেন্ট- ২০১৫’র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি পুলিশ লাইন মাঠে আয়োজিত টুর্ণামেন্টের বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শহিদ উল্লাহ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর সার্কেলের এএসপি চিত্ত রঞ্জন পাল, প্রফেশনাল এএসপি সাইফুল ইসলাম ও এএসপি (প্রফেশনাল) নাজিম উদ্দিন, রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রশিদ, কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. মোমিনুল ইসলাম, জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর নীতি বিকাশ দত্ত প্রমুখ।
এর আগে বেলুন উড়িয়ে টুর্ণামেন্টটে’র শুভ উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার। ম্যাচে রাঙামাটি জেলা পুলিশ দল বান্দরবান জেলা পুলিশ দলকে ৫ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে। রেফারির দায়িত্ব পালন করেন, রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ন সম্পাদক ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের রাঙামাটি প্রতিনিধি মোস্তফা কামাল, রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নেজাম উদ্দিন ও পূর্ণ ত্রিপুরা।
এসময় নিজ বাহিনীর পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার বলেন, খেলাধুলা মানুষকে ভালো হতে সহায়তা করে এই খেলাধুলা ছাড়া নির্মল আনন্দের আর কোনো মাধ্যম নেই। খেলোয়াড়দের প্রশংসা করে পুলিশ সুপার বলেন, আমরা ক্রিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাম বিশ্বে পরিচিত করেছি এবং বাংলাদেশের পতাকা বিশ্বের নানা প্রান্তে পৌছে গেছে, তেমনি আমাদের মধ্যেও প্রচেষ্ঠা থাকলে অবশ্যই কোনো একদিন আমাদের হ্যান্ডবলেও দেশের ন্যায় বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের পতাকাকে আরো বেশি করে পরিচিত করতে পারবে।
সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান