গুলশাখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ

225

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার গুলাশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। বিধি লঙ্ঘন করে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এক বছর পার হলেও বিধি লঙ্ঘন অবস্থায় এখনো চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এ বিষয়টি জানাজানির পর তার নির্বাচনী এলাকা ও সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের জন্য রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ইউনিয়নবাসীর পক্ষে ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা রেজাউল করিম। অভিযোগের সুত্রধরে অনুসন্ধানে জানাগেছে গুলশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২৬ এর ২(ছ) ধারা লঙ্ঘন করে নিজ নির্বাচনী এলাকায় সারের ডিলারের ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন। রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, গুলশাখালী ইউপির চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম “মেসাস শফিকুল ইসলাম” ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে তার ইউনিয়নের সারের ডিলার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আইন (বিধিমালা) ২৬ ধারার ২ এর (ছ) অনুযায়ী কোন ব্যক্তি নিজ এলাকায় সরকার কর্তৃক কোন অত্যাবশ্যক কোন দ্রব্যের ডিলার হলে তিনি নির্বাচনের অযোগ্য বলে গণ্য হবেন। ইউনিয়ন পরিষদ আইন (বিধিমালা) এর ৩৪ (৪) ধারা অনুযায়ী নির্বাচিত কোন ইউপি চেয়ারম্যান বা সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচনের অযোগ্য বলিয়া প্রমানিত হলে তিনি পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত বা অপসারনযোগ্য হবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শফিকুল ইসলাম ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত গুলাশাখালী ইউপি নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি এর আগে থেকেই ওই ইউনিয়নের সার ডিলার হিসেবে ব্যবসা করে আসছেন।

এ বিষয়ে গুলশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান তিনি ২০১২ সাল থেকে সারের ডিলার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত। তিনি দাবি করেন নির্বাচনী হলফনামায় তার ছেলের নামে ডিলারশীপের নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদনের কপি জমা দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নাম পরিবর্তন হয়নি স্বীকার করে শফিকুল ইসলাম বলেন, নাম পরবর্তনের জন্য আবেদন করা হলেও নাম পরিবর্তন হতে সময় লাগে।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নথিতে দেখা গেছে এখনো গুলশাখালী ইউপিতে সারের ডিলার হিসেবে শফিকুল ইসলাম নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছেন।

এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, উল্লেখিত ব্যক্তি যদি তার ইউনিয়নের সারের ডিলার হয়ে থাকেন এবং তিনি যদি নির্বাচিত হয়ে থাকেন তাহলে তিনি অবশ্যই ইউয়িন পরিষদ ম্যানুয়েল অনুয়ায়ী আইন ভঙ্গের জন্য দোষি হবেন। তবে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করণীয় নেই। যেহেতু ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের অধীন বিধায় সেটি তারাই ব্যবস্থা নিবেন।