॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটি শহরে রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে তার গৃহশিক্ষক মো. রুবেল (২৫) পিতা: শামছুল হক তার সহযোগিদের নিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেছে ভিকটিমের পিতা। এজাহারে উল্লেখিত ভিকটিমের পিতার বর্ণনা থেকে জানা যায়, মো. রুবেল কয়েকমাস আগে বাসায় এসে তার মেয়েকে পড়াত।
মাসখানেক আগে শিক্ষকের চলাচল সন্দেহজনক হওয়ায় তিনি মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন যে রুবেল ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে। এররপর থেকে তিনি বাসায় এসে পাড়ানো বন্ধ করে দেন। ঘটনার দিন গত ১৩/০৮/২১ইং আনুমানিক সকাল ১০টায় তিনি তার মেয়েকে স্কুলের এসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার জন্য তবলছড়ি মসজিদের সামনে নামিয়ে দিয়ে আসেন। এরপর মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য তিনি আনুমানিক সকাল ১১ঃ৩০ এর দিকে স্কুলে গেলে, দেখতে পান স্কুল বন্ধ তার মেয়ে আশপাশে কোথাও নেই। তখন রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের যাত্রী ছাউনীতে বসে থাকা কয়েকজনের কাছে জিজ্ঞাস করে জানতে পারেন ৪/৫জন ছেলে একটি মেয়েকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে স্বর্ণটিলার দিকে নিয়ে গেছে। এরপর তিনি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে মেয়েকে না পেয়ে রুবেলকে সন্দেহ হওয়ায় তাকে কল দেয় কিন্তু সে কল কেটে দেয়।
পরে সাজমুল হোসেন (২৫) কে ফোন করে জানতে পারেন সামছুল আলম (৫০) এর নির্দেশে সাজমুল হোসেন (২৫) পিতাঃ শহিদ মিয়া, মো. ইমরান হোসেন (৩০) পিতাঃ আব্দুল হাই ও আছহাব উদ্দীন নয়ন (২৪) পিতা: মো. ফেরদাউস তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে রাঙামাটি কোতয়ালী থানা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের পিতার এজাহারের ভিত্তিতে ১৪ আগস্ট পুলিশ ১) সাজমুল হোসেন (২৫) পিতা- শহিদ মিয়া, মাতা- আয়েশা বেগম, স্থায়ী ঠিকানা- সাং মাহিল্লা, সাদেক মাস্টার পাড়া, ০৬ নং ওয়ার্ড, ৩৭ নং আমতলী ইউপি, বাঘাইছড়ি। ২) মো. ইমরান হোসেন (২৫) পিতা আব্দুল হাই, মাতাঃ ছালেহা বেগম, স্থায়ী ঠিকানা- সাং ভূষণছড়া, ৮নং ওয়ার্ড, থানা- বরকল, বর্তমান ঠিকানা- ২নং পাথরঘাটা, ২নং ওয়ার্ড রাঙামাটি পৌরসভা। ৩) আছহাব উদ্দীন নয়ন (২৪) পিতা: মো. ফেরদাউস, মাতা- সাকেরা বেগম, ঠিকানা- সাং- রিজার্ভ বাজার, ২নং ওয়ার্ড রাঙামাটি পৌরসভা কে আটক করে। রোববার (১৫ আগস্ট) আটককৃতদের (৭/৩০ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩; পরস্পর যোগসাজসে অপহরণসহ সহায়তা করার অপরাধ) এ আদগালতে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তারা রাঙামাটি কেন্দ্রীয় কারাগারে আছে।