॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরণের নৌ চলাচল বন্ধ থাকবে। ঘুর্ণিঝড় হামুনের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
হামুন পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে মঙ্গলবার জরুরী সভা করেছে জেলাপ্রশাসন।
সভায় ঘুর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় প্রশাসনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে এই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, ইতোমধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু করেছে জেলাপ্রশাসন। প্রশাসন ও পুলিশের টিম এলাকাসমূহে সরেজমিনে যাওয়া ছাড়াও পুরো শহরে এবং উপজেলাগুলোতে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক বার্তা প্রদান করা হয়েছে। শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, সেখানে রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত খাবার।
জেলাপ্রশাসক মোর্শারফ হোসেন খান জানান, যেসব পাহাড়ে ঘরতুলে ভাড়াটিয়া রাখছে মালিকরা। তারা নিজ দায়িত্বে ভাড়াটিয়াদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন এবং তাদের নিরাপত্তা ও ঘরের আশেপাশে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করবেন। অন্যথায় ক্ষয়ক্ষতির জন্য তাদের দায়ী করা হবে।
সভায় রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. সাইফুল ইসলাম, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ শফি, জেলা শিক্ষা অফিসার মৃদুল কান্তি তালুকদার, জেলা রোভার স্কাউটস এর সম্পাদক নুরুল আবসার, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, পৌর কাউন্সিলর মো. জামাল উদ্দিনসহ সরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে, ঘুর্ণিঝড় হামুন মঙ্গলবার ভোর রাতেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকবে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর বর্তমানে বিক্ষুব্ধ আছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে
৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারি বর্ষণের কারণে রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে।