চট্টগ্রাম বিভাগে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হলেন রণতোষ মল্লিক

236

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

এ বছর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন রাঙামাটি শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাণী দয়াময়ীী উচ্চ বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক রণতোষ মল্লিক। শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ এর বিভাগীয় পর্যায়ে সহপাঠ্যক্রম ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয় পর্যায়ে তিনি বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হন।

গত সোমবার চট্টগ্রাম কলেজের অবনি মোহন দত্ত অডিটোরিয়ামে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রণতোষ মল্লিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষকের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, শিক্ষক রণতোষ মল্লিক তার শিক্ষকতা জীবনে আরো বেশ কয়েকটি স্বীকৃতি অর্জন করেন। তিনি শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে প্রশিক্ষণের জন্য দেশের বাইরে গিয়েও অভিজ্ঞতা অর্জনের দুলর্ভ সুযোগ লাভ করেন। শুধু শিক্ষকতা পেশাতেই নয় ব্যক্তিগত জীবনে এই উদ্যমী পুরুষ নানা ধরণের সামাজিক কর্মকান্ডে সার্বক্ষণিকভাবে অবদান রাখা ছাড়াও, জেলার বিভিন্ন বিষয়ে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ সভাগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরে সুশীল সমাজের নিকট খ্যাতি অর্জন করেছেন। রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাড়াও তিনি জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। রাঙামাটি শহরে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর মাঝে রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি স্বতন্ত্র অবস্থান রয়েছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক শিক্ষর্থী পড়ালেখা করে থাকে। অভিভাবকরা জানিয়েছে রণতোষ মল্লিক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিদ্যালয়টি শিক্ষার মান এবং সামগ্রিক পরিবেশ ক্রমাগতভাবে উত্তরণের ধারাবাহিকতায় রয়েছে।

তার শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক রণতোষ মল্লিক বলেন, শিক্ষকতাই আমার ধ্যান জ্ঞান, আমি শুরু থেকে চেষ্টা করে গিয়েছি আমার প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার কাক্সক্ষীত পরিবেশ গড়ে তোলাসহ অবকাঠামো দিক দিয়ে উন্নত করে তোলার। আমরা গত কয়েক বছরে উত্তরোত্তর ফলাফলে এগিয়ে গেছি। বেসরকারি (এমপিওভূক্ত) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা সীমাবদ্ধতা থাকে। এর মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি সবার আগে বলা যায়। আমরা যাদের পাই তারা অনেক সময় ভারো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে আমাদের কাছে আসে। আমরা পরম মমতায় এবং আন্তরিক প্রচেষ্টায় তাদের গড়ে তোলার চেষ্টা করি। শান্তনা একটাই নামী দামি প্রতিষ্ঠানের মতো ফলাফলে হয়তো আমাদের ফলাও করে দেখানোর সুযোগ হয় না। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যালয় জীবন পার করে অনেক শিক্ষার্থী এখন দেশে বিদেশে বড় বড় দায়িত্বে নিয়োজিত হয়ে ব্যাপক সুনাম কুড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার অন্তত ১৫ হাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হওয়ার যে গৌরব আমি অর্জন করেছি, তার পিছনে আমার সহকর্মীদেরও অনেক অবদান রয়েছে। তাদের সাতে নিয়ে আমি আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠানটিকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

তিনি তার ফেসবুক পেইজে- এই অর্জনের জন্য মহান বিধাতার নিকট ও বিভাগীয় পর্যায়ের সম্মানিত আয়োজক কর্তৃপক্ষ এবং বিচারকমন্ডলীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি তার পিতা ও প্রয়াত মাতার অপরিসীম ত্যাগ স্মরণ করে নিজের সকল শিক্ষাগুরু, রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, সকল সহকর্মী, অভিভাবকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তার অর্জন নিবেদন করেন।