চিৎমরমে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে জমে উঠেছে প্রচারণা

358

॥ কাপ্তাই প্রতিনিধি ॥

কাপ্তাই উপজেলাধীন চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৮ নভেম্বর। নানা ভয়ভীতি কাটিয়ে এলাকাবাসী পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের মধ্যে প্রচার-প্রচারণা ততই জমে উঠছে। প্রসঙ্গত, গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে এই ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নেথোয়াই মারমা গত ১৬ অক্টোবর রাতে তার চিৎমরমের নিজ বাড়ি আগা পাড়ায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়। এতে জনমনে ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মর্মান্তিক এই ঘটনার পরদিন নির্বাচন কমিশন ওই ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করে।

পরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চিৎমরম ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ওয়েশ্লিমং চৌধুরীকে দলের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী দুই দুইবারের চেয়ারম্যান খাইসাঅং মারমা। তিনি টেবিল ফ্যান প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

মঙ্গলবার এই ইউনিয়নের চিৎমরম বাজার, হেডম্যান পাড়া, মুসলিম পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের পোস্টারে পুরো এলাকা ছেয়ে গেছে।

যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়েশ্লিমং চৌধুরী জানান, বিগত বছর গুলোতে বর্তমান সরকার এই চিৎমরম ইউনিয়নের দূর্গম এলাকাসহ সব কয়টি ওয়ার্ডে যেভাবে উন্নয়ন করেছে, তারই ধারাবাহিকতায় জনগণ নৌকার প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। তিনি অভিযোগ করেন, এই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে। সেখানে নৌকার কর্মী সমর্থকরা ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না। তিনি এসব এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

অপরদিকে, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী খাইসাঅং মারমা জানান, তিনি দুইবার চেয়ারম্যানের দায়িত্বকালীন সময়ে এই এলাকার জনগণের সুখ দুঃখের সাথে মিশে ছিলেন। এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন, তাই এবারও জনগণ তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

চিৎমরম ইউনিয়ন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার তানিয়া আক্তার জানান, বিগত ১১ নভেম্বর কাপ্তাই উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, এই ইউনিয়নেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হবে। এই নির্বাচনী কর্মকর্তা আরও জানান, এই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে ২জন, ৫নং ওয়ার্ডে ২জন এবং ৬নং ওয়ার্ডে ৩জন সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচনে লড়ছেন। সাধারণ সদস্য পদে বাকি ওয়ার্ড গুলোতে ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছে। এছাড়া এই ইউনিয়নে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের ৩ টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সদস্য নির্বাচিত হয়ে গেছে।
চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, রাইখালী ইউনিয়নের মতো তারা চিৎমরম ইউনিয়নের প্রত্যেক প্রার্থীকে আলাদা ভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া নির্বাচনকালীন সময়ে এলাকায় তাদের টহল জোরদার করেছেন।