চুক্তির পরই পাহাড়ে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি ও শান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়: দীপংকর

109

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির কারণেই পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি ও শান্তির সুবাতাস ফিরে আসে এবং শান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়। এর আগে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় পাহাড়ে অস্ত্র ও সন্ত্রাসের কারণে অস্বস্থিকর পরিবেশ ছিল। তিনি বলেন ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে ৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ের দীর্ঘ দুই দশকের রক্তক্ষয়ী সংঘাত বন্ধ হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৬বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার (০২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাঙামাটি জেলা পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি থেকে চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এই মন্তব্য করেন।

দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, সরকার চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৬৫টি ধারা বাস্তবায়ন করেছে, বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করতে সরকার আন্তরিক। তবে পূর্ণাঙ্গ চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য শান্তিপূর্ণ অবস্থান তৈরী করতে হবে, দূরত্ব কমাতে হবে, সহবস্থানের ঘাটতি দূর করতে হবে তবেই চুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

চুক্তির বর্ষপূতি ঘিরে এর আগে রাঙামাটিতে আনন্দ র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয় এবং আলোচনা সভার পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সকালে রাঙামাটি আদালত চত্ত্বর হতে একটি আনন্দ র‌্যালী বের হয়ে শহরের বনরূপা, কাঠালতলী হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত রিজিয়িন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী (পিএসসি), রাঙামাটি সদর দপ্তরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ আনোয়ার লতিফ খান (পিএসসি), রাঙামাটি মহিলা সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম (যুগ্ন-সচিব), রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাঙ্খোয়া, সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, সদস্য অংসু ছাইন চৌধুরী, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।