স্টাফরিপোর্ট- ১৮ আগস্ট ২০১৮, দৈনিক রাঙামাটি (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি): বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস- বিজেসি’র সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ‘আবুল হোসেন বাহিনী’র প্রধান ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন গত ১৭ আগস্ট ২০১৮ তারিখ এক বিবৃতিতে বলেছেন, চলমান সমাজের বাস্তবতার নিরিখে গরীব ও মেহনতি মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে দেশের মানুষের বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস (বিজেসি) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) কে পূর্ণ সমর্থন দেয়া উচিত।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ১৪ আগষ্ট, ১৯৪৭ ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান ও ভারত নামে দু’টো রাষ্ট্র বৃটিশদের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। বর্তমান ভারতের পূর্বাংশে অবস্থিত পূর্ব-পাকিস্তান ও পশ্চিমাংশে অবস্থিত পশ্চিম পাকিস্তান নিয়ে পাকিস্তানের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। পূর্ব পাকিস্তান একটি প্রদেশ এবং পশ্চিম পাকিস্তান ৪টি প্রদেশ নিয়ে গঠিত। পূর্ব-পাকিস্তান প্রদেশটি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করলে তা বাংলাদেশ নামে অভিহিত হয়। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে ভারত ভাগ হয়ে পূর্ব-পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল, বিধায় ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। পাকিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, সামছুল হকসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলার নেতৃবৃন্দ বলিষ্ট ভূমিকা রেখেছিলেন। মূলতঃ ১৯৪৭ সালে বাংলার পূর্ব বাংলা পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত হয়, যা আজকের বাংলাদেশ, পশ্চিম বাংলা ভারতের অন্তর্ভূক্ত হয় যা আজকের ভারতে বাংলা প্রদেশ নামে অভিহিত। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে ২৫ মার্চের পূর্ব পর্যন্ত পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় ছিল মুসলিম লীগ, ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫ মার্চ পাক সেনাবাহিনী জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সামরিক শাসন জারী করে।
সামরিক শাসন থাকাকালীন ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাকিস্তানের ৩০০ আসনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৬০ আসন লাভ করায় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার জনগণের ম্যান্ডেট পায়। জুলফিকার আলী ভূট্টোর নেতৃত্বে পাকিস্তান পিপলস্্ পার্টি পশ্চিম পাকিস্তানে ৮৫ আসন পায়। ইয়াহিয়া খান ভূট্টোর সাথে পরামর্শ করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের/আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা না দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সাথে প্রহসনমূলক আলোচনা চালিয়ে কালক্ষেপন করতঃ সামরিক বল প্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায়। যার প্রেক্ষিতে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ নামে স্বাধীন করেন। ঐ সময়ে মুসলিম লীগও যদি ক্ষমতায় থাকতো তাহলে হয়তবা বঙ্গবন্ধুর সাথে রাজনৈতিক সমঝোতা হতো, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতেন। সেক্ষেত্রে বাঙালীরা পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতেন।
বাংলাদেশের মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা যেমন- “আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায় বিচার” এবং “রাজনৈতিক অধিকার (গণতান্ত্রিক সমবাদ)” প্রতিষ্ঠা, ধনী-গরীবের আকাশচুম্বী ব্যবধান কমিয়ে “সামাজিক অর্থনীতি ব্যবস্থা” প্রবর্তন এবং দেশে “সুশাসন” প্রতিষ্ঠাকরণসহ সাধারণ জনগণের জীবন মানোন্নয়ন আজকের সময়ের দাবী। বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস (বিজেসি) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি এবং আশাবাদী দেশ ও জনগণের স্বার্থে দেশের মানুষ বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস (বিজেসি) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) কে পূর্ণ সহযোগিতা ও সমর্থন দেবেন।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান।