জিম্মি তথ্য ভুল ছিল স্বীকার করে মৎস্য শ্রমিকদের সংবাদ সম্মেলন

433

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

‘শ্রমিকদের জিম্মি করে মাছ ধরানোর’ বিষয়ে ভুল স্বীকার করে ভিন্ন ব্যাখ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেছে কথিত জিম্মী শ্রমিকরা। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে রাঙামাটি শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রদানের পাশাপাশি মৌখিক ব্যখ্যায়ও শ্রমিকরা জানায় তারা আগে সংবাদিকদের কাছে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তখন তাদের হিতাহীত জ্ঞান ছিল না। লোভের বশভর্তি হয়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই বক্তব্য দেয় তারা। শ্রমিকরা জানায়, আমরা চলতি মওসুমে বিগত দুই মাস যাবৎ মৎস্য ব্যসায়ী হেলাল উদ্দিনের অধীনে রাঙামাটির বালুখালী ইউনিয়নের সাপমারা পাহাড় এলাকায় কেচকি জাল টানার কাজে নিয়োজিত আছি, এর আগেও আমরা তার অধীনে এই কাজ করে গেছি। আমাদের মালিক নিয়মিত বেতন প্রদান করেন এবং খাবার-দাবারও ঠিক মতো দিয়ে আসছেন। আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মালিকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে ভুল তথ্য পরিবেশন করি।

ষড়যন্ত্রের ব্যখ্যা দিতে গিয়ে শ্রমিকরা জানায়, আমাদের সওদাগর হেলাল উদ্দিনের সাথে ওই এলাকার নেজাম উদ্দিন ফকির ও তার ছেলে জয়নালের পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাদের ব্যবহার করা হয়েছিল। শ্রমিকরা জানায়, নিজাম ফকির ও তার ছেলে জয়নাল ১৯ ফেব্রুয়ারি আমাদের কাছে এসে নগদ টাকার লোভ দেখিয়ে এবং নেশা দ্রব্য খাইয়ে আমাদের ওই কথাগুলো বলতে বাধ্য করে। তারা আমাদের মালিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রস্তাব দিলে আমরা আরো পাওয়ার লোভে পড়ে রাজি হই।

জয়নাল আমাদের নেশা জাতীয় ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর ২০তারিখ স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে আমাদের মালিকের বিরুদ্ধে উল্টা-পাল্টা এবং অসত্য তথ্য প্রদান করি। আমরা নেশার ঘোরে কি বলেছি জানা নেই। নেশার ঘোর কেটে যাওয়ায় বুঝতে পারলাম আমরা ভুল করেছি। এইজন্য আমরা আমাদের এমন বক্তব্য প্রত্যাহার করছি এবং স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এ ব্যাপারে জবানবন্দিও দিয়েছি।

তারা লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করেন যে, আমাদের মালিক অত্যন্ত ভাল মানুষ। আমরা এই মালিকের অধীনে অনেকবার কাজ করেছি। আমরা ছুটি নিয়ে অনেকবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। আবার ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দিয়েছি। তিনি নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধ করেন। আমরা যে কোন জায়গায় আমাদের এ বক্তব্য প্রদান করতে পারবো।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- মৎস্য শ্রমিক মোঃ জিসান। এসময় মৎস্য শ্রমিক এরশাদ, রুবেল, নাছির, রহিম, ফরিদ এবং রাকিব উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।