॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
জুমআর নামাজের সময় অভিভাবকরা বাড়ির বাইরে থাকার সুযগে খালি ঘরে একা পেয়ে দরিদ্র পরিবারের বুদ্ধি প্রতিবন্ধি কিশোরীকে ধর্ষন চেষ্টার সময় সুনীল কুমার চাকমা নামে এক যুবককে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। মেয়েটি চিৎকার শুনে স্থানীয়রা কৌতহল বশত এগিয়ে এসে সুনীলকে কিশোরীর ঘরে দেখতে পায় এবং আটক করে। পরে তাকে টহলরত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে সপে দেয়।
জুরাছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় ভিকটিম বাঙ্গালী কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে জুরাছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ১০ ধারায় দায়েরকৃত মামলা নাম্বার-১, তারিখ: ২৯/০৯/২০২৩ইং। আটককৃত সুনীল কুমার চাকমাকে শনিবার রাঙামাটির আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন বলে প্রতিবেদককে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন ওসি। লম্পট সুনীল কুমার চাকমা জুরাছড়ি উপজেলাধীন ৩নং মৈদং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কাঠালতলী এলাকার দয়াধন চাকমার ছেলে এবং পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি বলে জানাগেছে।
মামলার এজাহারে ভিকটিমের পিতা উল্লেখ করেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর সোয়া বারোটার সময় আমার মেয়ে বাসায় রুমে বসে টিভি দেখছিলো, এসময় সুনীল কুমার চাকমা বাসায় প্রবেশ করে অভিভাবকরা কেউই বাসায় নেই জানতে পেরে যৌন কামনা চরিতার্থ করতে আমার মেয়ের শরীরের বুকে ও পেটে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে। এসময় আমার মেয়ের শৌরচিৎকারে আমিসহ স্থানীয় প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে হাতেনাতে সুনীল কুমার চাকমাকে ধরে ফেলি। এসময় আমাদের এলাকায় টহলরত নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা শৌরচিৎকারশুনে এগিয়ে আসতে সুনীলকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
জুড়াছড়ি থানার ওসি আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, আমরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী-২০০৩)এর ২২ ধারা মোতাবেক ভিকটিমের জবানবন্দি ইতোমধ্যেই রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলা সদরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনাটি গত ২৯ তািরখে সংগঠিত হয়। পুরো জুড়াছড়ি উপজেলাটি উপজাতীয় বাসিন্দা নির্ভর এবং মাত্র কয়েকটি অতিদরিদ্র বাঙ্গালী পরিবার সেথায় বসবাস করে। স্থানীয়দের রোষানলে পরার ভয়ে এনিয়ে কেউই মুখ খুলতে চায়নি গত দু’দিন। স্থানীয় সামাজিক সংগঠনগুলোও বিষয়টি নিয়ে নিরব থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এদিকে, পাহাড়ে পান থেকে চুন খসলেই নারী সংগঠনগুলো যেখানে আন্দোলনে ঝাঁিপয়ে পড়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে বিতর্কিত করার আপ্রাণ চেষ্ঠা চালিয়ে যায়। সেসকল পাহাড়ি নারী সংগঠনগুলো জুরাছড়ির বাঙ্গালী কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টাকারি সুনীল কুমার চাকমার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রতিবাদ না করায় তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদসহ কয়েকটি সংগঠন। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি বাঙ্গালী কিশোরীর সুচিকিৎসা নিশ্চিতসহ এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার মূল হোতা ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সুনীল কুমার চাকমার কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে নাগরিক পরিষদ ও ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ।