দুর্গম উপজেলা জুরাছড়ির জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় করেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ।
বৃহস্পতিবার জুরাছড়ি উপজেলার উন্নয়ন কর্মকান্ড ও প্রশাসনিক বিণ্যাস পরিদর্শনের জন্য সফরকালে তিনি এ মত বিনিময় সভায় মিলিত হন। সফরকালে তিনি সকালেই ২নং বনযোগিছড়া ইউনিয়নের চকপটিঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ক্লিনিক পরিদর্শন করেন।
এ সময় জেলাপ্রশাসক প্রত্যন্ত এই এলাকায় বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস দেখে সন্তেুাষ প্রকাশ করেন। মতবিনিময় ছাড়াও উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য স্কুল ড্রেস বিতরণের সময় এ কে এম মামুনুর রশিদ বর্তমান সরকারের শিক্ষার সাফাল্য ও অগ্রগতি তুলে ধরেন।
তিনি বিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আবারও টিফিন বক্স দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন শেষে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান, কার্বারী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে তিনি আইন শৃঙ্খলা সভায় মিলিত হন। এ সভা উপজেলা পরিষদের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুবনজয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের লোকবল সংকট এবং হেডম্যান, কার্বারীদের অফিস স্থাপনের বিষয় জেলা প্রসাশকের নিকট তুলে ধরেন ।
আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে কালে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সম্পর্কে অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি জানান, বর্তমানে জুরাছড়ি উপজেলার আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে।
অপরদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগ প্রতিনিধি জ্ঞানমিত্র চাকমা দাবী জানিয়েছেন আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দ্রুত গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষে জেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
১নং জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা বলেন, কৃষকদের সারের মূল্য সরকারি ভাবে প্রতি কেজি সার ১৪ টাকা হলেও বর্তমানে জুরাছড়ি ডিলার ২০ টাকা হারে বিক্রি করছেন বলে জানান।
সবার বক্তব্য শেষে জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন ভুবনজয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংকটের বিষয়ে সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে সবলকে আশ্বাস প্রদান করেন।
আলোচনা সভা শেষে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি হিসাবে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুরাছড়ি অ্যাপস উদ্ধোধন করেন এ কে এম মামুনুর রশিদ। পরে বিভিন্ন বিদ্যালয়ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে ড্রেস ও বাদ্যযন্ত্র সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়াও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক জুরাছড়ি শাখা কর্তৃক সুবিধাভোগী গ্রাহকদের ঋন বিতরণ করা হয়।