টাঙ্গাইলে বিজেসি’র জনসমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন

609

স্টাফ রিপোর্ট- ২৫ এপ্রিল ২০১৭, দৈনিক রাঙামাটি (প্রেস বিজ্ঞপ্তি):  গত ২১ এপ্রিল, ২০১৭ রোজ শুক্রবার টাঙ্গাইল শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস (বিজেসি)-র টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে এক জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে দেশের চলমান রাজনীতির উপর বক্তব্য রাখেন বিজেসি-র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বঙ্গরতœ বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন। ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন বলেন-

১৯৭১ সালে এক ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। এ সময়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াতো শিশু সন্তানসহ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি সুরক্ষিত বাসায় অবস্থান করেছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাতো পরিবারসহ ধানমন্ডির একটি সুরক্ষিত বাসায় গৃহবন্দী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁরাতো দেখেননি বা জানতেও পারেননি কিভাবে পাক সেনাবাহিনী এদেশীয় দালালদের (রাজাকার, আলবদর, আল শামস্্) সহযোগিতায় সেনা সদস্যদের, ইপিআর সদস্যদের, পুলিশ সদস্যদের, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষকদের, ছাত্র-ছাত্রীদেরসহ ৩০ লক্ষেরও অধিক মানুষকে হত্যা করেছেন। ৩ লক্ষের অধিক মা-বোনকে ধর্ষণ করেছেন, ১ কোটিরও অধিক লোককে দেশান্তারিত করেছেন, ৫০ লক্ষেরও অধিক লোককে অভ্যন্তরীণভাবে গৃহহীন করেছেন, ৫০ হাজারের অধিক যুদ্ধ সন্তান জন্ম দিয়েছেন, তাদেরকে লালন-পালনের জন্য বঙ্গবন্ধু বিদেশে পাঠিয়েছেন।

উনারা কি জানেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি? যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তারা জানেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কাকে বলে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো- (১) সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাকরণ, (২) জনগণের রাজনৈতিক অধিকার সংরক্ষণকরণ, (৩) জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি আনয়ন। এ ৩টির কোনটাই পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। স্বাধীনতার মূল মন্ত্রই ছিল জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, যা আজো আসেনি। বাংলাদেশের প্রায় ২ কোটি মানুষ বস্তিতে বাস করেন, শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষের জীবনমান দারিদ্রের কষাঘাতে বিপর্যস্ত- নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। কিছু সংখ্যক লোক দেশের সিংহভাগ অর্থ-সম্পদের মালিক। ধনী-গরীবের ব্যবধান আকাশচুম্বী, এ অবস্থায় একটি দেশ চলতে পারেনা। তাই আগামীতে ভোট দেয়ার সময় ভেবে চিন্তে ভোট দেবেন, আপনারা কাকে ভোট দিচ্ছেন, কোন দলকে ভোট দিচ্ছেন। ৪৬ বছরের অধিকাংশ সময়ে জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল। এ সকল দল দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারেনি, জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে পারেনি। লাঙ্গল, ধানের শীষ ও নৌকায় ভোট দিলে, তা আপনাদের বিরুদ্ধেই দেয়া হবে, তাই ভেবে-চিন্তে ভোট দেবেন। নির্বাচনের সময় এ সকল রাজনৈতিক দলের ধনী ব্যবসায়ী প্রার্থীরা অনেককে টাকা-কড়ি দেবেন, কাপড়-চোপড় দেবেন, চা-পান, বিড়ি-সিগারেট দেবেন। যাদেরকে দেবেন, তারা সাদরে তা গ্রহণ করবেন। কারণ তারাতো আপনাদেরই অর্থ সম্পদ লুটপাট করে রাতারাতি বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। আপনাদের টাকারই অংশ বিশেষ আপনাদেরকে দিচ্ছেন। কিন্তু তাদেরকে ভোট দেবেন না। ভোট আপনাদের পবিত্র আমানত। লাঙ্গলে ও ধানের শীষে কিংবা নৌকায় ভোট দিলে তা নিজের পায়ে কুড়াল মারার সামিল হবে। কারণ জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করে না, এরা কিছু সংখ্যক ধনী লোকের প্রতিনিধিত্ব করেন।

জীবনের শেষ প্রান্তে মুক্তিযোদ্ধারা
যে দু’লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাদের সে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। তাদের বেশিরভাগ আজ অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন; অনেকে রিক্সা চালিয়ে ও ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালিয়েছেন। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পার হওয়ার পর জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তারা বর্তমানে মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাতা পাচ্ছেন। এজন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাধুবাদ জানাই। ইতোমধ্যে অনেকে মারা গিয়েছেন, যারা বেঁচে আছেন তাদেরও যাওয়ার পালা।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারে থাকাবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরী করেছেন এবং করছেন। যাদের বয়স ৬০ এর উর্দ্ধে তারাই কেবল বলতে পারবেন, তাদের গ্রামের কারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। উপজেলার গ্রাম লেভেলে এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করতে হবে। দলীয় কারণে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরী করলে তা শুধু বাংলার মানুষের সাথেই বেঈমানী করা হবেনা, বরঞ্চ মহান সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান আল্লাহ্্ পাকের সাথেও বেয়াদবী করা হবে, কারণ মৃত্যুর পর লাশের কফিনে জাতীয় পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে তাদেরকে সম্মান প্রদর্শনপূর্বক দাফন করা হয়। টাকার লোভে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরীর মত পাপ কাজের সাথে জড়িত না হওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ভাইদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

জনগণের জীবন মানোন্নয়নে বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস (বিজেসি) এর ২৫ বছরের ভিশন
২০২৩ সালের মধ্যে নি¤œ মধ্য আয়ের দেশ, ২০২৮ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ, ২০৩৩ সালের মধ্যে উচ্চমধ্য আয়ের দেশ, ২০৩৮ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে “ভিলেজ সিটি” সমন্বিত শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করণ।
বেকারত্ব, ক্ষুধা ও দরিদ্রতা দূরীকরণে; নারী ও শিশু নির্যাতন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি, অপহরণ বাণিজ্য, খুন ও ডাকাতি, গুম, বোমাবাজি, নির্বাচন বাণিজ্য, ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধে; যুগোপযোগী শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রবর্তনে; স্বল্প ব্যয়ে বাসস্থান ও যোগাযোগ উন্নয়নে; আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় তথা সামাজিক নিরাপত্তাবলয় তৈরীতে ০৮ (আট) দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যথাক্রমে ‘বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস’ (বিজেসি) ও ‘জাতীয় ছাত্র কংগ্রেস’ (এনএসসি) এর ব্যানারে স্ব-উদ্যোগে বাংলাদেশের প্রত্যেক গ্রাম/মহল্লায়, ইউনিয়ন/ওয়ার্ডে, উপজেলা/জেলা/বিভাগীয়/রাজধানী শহরে এবং প্রত্যেক স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন। আহ্বায়ক কমিটি করুন, নিজেরা বাঁচুন এবং দেশ ও জাতিকে বাঁচান –
শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহ্্রাওয়ার্দী ও মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ৬ দফা কর্মসূচি দিয়েছিলেন বাংলার মানুষের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য; যা প্রকারান্তে স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি বটে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের তথা স্বাধীনতার চেতনার মূলমন্ত্র জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি আজো আসেনি। আমি মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন ১১ নভেম্বর, ২০১৬ বিজেসি-র জাতীয় সম্মেলনে দেশবাসীর উদ্দেশে সংশোধিত আকারে ৮ দফা কর্মসূচি দিয়েছি, যার লক্ষ্য সাধারণ জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা।
৮ (আট) দফা কর্মসূচি-
১। সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষায় এবং ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধে তথা সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরীতে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করণ।
২। যুগোপযোগী বৈষম্যহীন শিক্ষা, চিকিৎসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তন করণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করণে ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় বিধি-বিধানের আলোকে জনসাধারণকে সতর্ক সচেতন করণ।
৩। রাষ্ট্র পরিচালনায় গতানুগতিক রাজনীতির বিপরীতে ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ রেখে “সমবাদ তত্ত্ব” (ঞযবড়ৎু ড়ভ ঊয়ঁধষরংস)- র ভিত্তিতে “গণতান্ত্রিক সমবাদ” (উবসড়পৎধঃরপ ঊয়ঁধষরংস) পদ্ধতি প্রবর্তন করণ।
৪। শ্রমিকের ন্যায্য মজুরী প্রদানসহ ধনী-গরীবের ব্যবধান কমাতে সম্পদের সুষম বন্টন ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করণে এবং নিঃস্ব থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর শতকরা ৯৩ ভাগ জনগণের জীবনমান বাড়ানোর লক্ষ্যে এবং বেকার সমস্যার সমাধানসহ সকল মানুষের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান নিশ্চিত করণে হযরত ওমর (রা) শাসনামলের অনুকরণে রাষ্ট্র পরিচালনায় সমবাদ তত্ত্ব-র ভিত্তিতে ‘সামাজিক অর্থনীতি’ (ঝড়পরধষ ঊপড়হড়সু) প্রবর্তন করণ।
৫। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিকরণসহ কোরআনে হাফেজ, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ বেকার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বেকার ভাতা প্রদান করণ।
৬। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় যুগোপযোগী সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবি; পুলিশবাহিনী, র‌্যাব ও আনসারবাহিনী গঠন করণ।
৭। খাদ্য নিরাপত্তা বলয় তৈরীতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, ভূমি সংস্কার আইন প্রণয়ন ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করণ।
৮। বাংলাদেশকে ৫টি প্রদেশ ও ১২টি বিভাগে বিভক্তি করণ এবং প্রত্যেক প্রদেশে ২৫টি করে শিল্পাঞ্চলসহ একটি করে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপন করণ।

মহান মুক্তিযুদ্ধ ৭১ এ বৃহত্তর ময়মনসিংহ রণাঙ্গনে এফ, এফ, সদস্য হিসেবে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ করেছি। আজ মুক্তিযুদ্ধের ৪৬ বৎসর পর আবারও জনতার সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে নবযাত্রা শুরু করেছি। আপনাদের দোয়া ও ভালবাসা থাকলে আমরা অবশ্যই ধনী গরীবের আকাশচুম্বী ব্যবধান কমিয়ে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি আনয়নে কামিয়াবী হবো ইনশাল্লাহ্্। এবারের সংগ্রাম জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম বস্তিবাসী ও হতদরিদ্র জনগণের কর্ম-বাসস্থান সমস্যা সমাধানের সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম জনগণের মানবাধিকার সংরক্ষণের সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম সুশাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ
দীর্ঘ ৪৬ বছরে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থনৈতিক মুক্তি আনয়ণে জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ব্যালটের মাধ্যমে এদেরকে প্রতিহত করুন। জাতীয় পার্টির লাঙ্গলে, বিএনপি-র ধানের শীষে এবং আওয়ামী লীগের নৌকায় আর ভোট দিয়ে ধোঁকাবাজিতে পড়বেন না। জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস (বিজেসি) কে সমর্থন করবেন, ভোট দেবেন; দেশবাসীর প্রতি এ আহ্বান জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।

উক্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিজেসি-র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ আবুল কাশেম, জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট এর সাধারণ সম্পাদক গাজী মোস্তাফিজুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক/দার্শনিক আবু মহি মুসা ও বিজেসি-র টাঙ্গাইল সদর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজগর আলীসহ আরও অনেকে। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন, বিজেসি-র টাঙ্গাইল জেলা কমিটির আহ্বায়ক ডা. মোঃ নাজিম উদ্দিন। ডা. মোঃ নাজিম উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে দেশের গণমানুষের জীবনমান বাড়ানোর লক্ষ্যে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিজেসিকে সমর্থন দেয়ার জন্য টাঙ্গাইলের জনসাধারণের প্রতি সবিনয় আহ্বান জানান।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান