মঈন উদ্দীন বাপ্পী, ২৩ জানুয়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কথা ভেবে এ অঞ্চলে প্রযুক্তির প্রচার ও প্রসারে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমান সরকার বিশ্বাস করে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। দেশের জনগণকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে প্রযুক্তির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের শ্রমিকরা দক্ষতা অর্জন না করেই বিদেশে পাড়ি জমানোর কারণে তাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। তাই বর্তমান যুগে দক্ষতা অর্জন করার পর চাকুরির উদ্দেশ্যে বিদেশ গেলে একদিকে যেমন দেশের রেমিট্যান্স বাড়ানো যাবে ঠিক দেশের জন্য সুনাম অর্জন হবে। শনিবার বিকেলে রাঙামাটিতে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু শাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শহিদল্লাহ, রাঙামাটি সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মফিজ আহমদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জুয়েল সিকদার, পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাসাদ্দিক হোসেন কবির। মেলায় অংশগ্রহণকারীর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ট্যাকভেলীর স্বত্বধাকারী হালিম শেখ প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে; সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন। বর্তমান সরকার ২৫ হাজার মিেট্রক টন চাল রপ্তানী করেছে। বাংলাদেশকে এক সময় তলা বিহীন ঝুঁড়ি বলা হতো, আজ সেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আর তা সম্ভব হচ্ছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টার ফলে। বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তরুণ সমাজকে কাজে লাগাতে হবে। কারণ বাংলাদেশে রয়েছে বিশাল একটি তরুণ শক্তি। ২০১৩-২০৩৩ সাল এই ২০ বছর বাংলাদেশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়। আর এ সময়ের মধ্যে দেশকে এগিয়ে নিতে না পারলে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আর থাকবে না।
মেলায় অংশগ্রহনকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয়। শনিবার বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্য দিয়ে তিনদিনের মেলা শেষ হয় ।
সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান