দখল ও গাছ কাটার অভিযোগে মামুন চেয়ারম্যান কারাগারে

326

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
বরকলের সাবেক যুবলীগ সভাপতি ও ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর রশিদকে জমি দখল ও গাছ কাটার মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। জমি দখল, সেগুন গাছ কাটা ও গাছ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন ওই এলাকার মোঃ সেলিম।

ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন মামুন। বৃহস্পতিবার ওই মামলায় নিন্ম আদালতে আত্ম সমর্পণ করে জামিন চাইলে তার জামিন আবেদন নাকোচ করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। একই মামলায় গত ১অক্টোবর ২০২০ মামুনের পিতা সোলাইমান ও ছিদ্দিক মেম্বার নিন্ম আদালতে হাজির হলে তাদেরকেও জেলহাজতে প্রেরণ করে।

জানা গেছে, ওই এলাকার মোঃ সেলিমের প্রায় ১০একর জমি মামুন চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে ওই জমি হতে মামুন ক্ষমতার জোরে জমিটি দখল করে এবং জমির উপর থাকা সেগুন,গামারি কড়াই গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে যায় মামুন চেয়ারম্যান ও তার ক্যাডাররা। প্রায় ১২-১৪লক্ষ টাকার গাছ কেটে নিয়ে গেছে মামুন।

মামলার বাদী সেলিম বলেন, ১০একরের ও বেশী জমি দখল করে আছেন মামুন চেয়ারম্যান। মামুন চেয়ারম্যান ও তার ক্যাডারদের দাপটে এলাকায় বসবাস করা দোষকর হয়ে পড়েছে। যে তার বিরুদ্ধে যাবে তার বিরুদ্ধে মামলা করে মামুন। এলাকায় করেনা এমন কোন কাজ বাকি নাই।ধর্ষণ, জমি দখল, সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ, গাছ কাটা, কাবিখা, টিআর ও কাবিটার টাকা আত্মসাৎ সহ সকল অনিয়ম দুর্নীতির সাথে সাথে জড়িত মামুন চেয়ারম্যান। এছাড়াও জামায়াত বিএনপির সাথে গোপন সম্পর্ক রয়েছে মামুন চেয়ারম্যানের। সে ধর্ষণ মামলার আসামী। সে মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিনে আছেন। আগামী ২১অক্টোবর নিন্ম আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত ৩-৪ মাস আগে মামুন চেয়ারম্যানের অনিয়ম দুর্নীতির দায়ে উপজেলা যুবলীগের পদ থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে। কিন্তু ধর্ষণ মামলা এখনো কোন শাস্তি হয়নি। এসব মামলা মোকাদ্দেমায় প্রায় ৫-৬মাস ধরে পরিষদে যায়নি মামুন। তাই পরিষদের কার্যক্রম এ জট লেগে আছে। আমরা দ্রুত মামুনের অপসারণ চাই। সে হাই কোর্ট নিয়ে জামিনে এসে এলাকায় অসহায় লোকজনের বিরুদ্ধে ৪-৫ টি হায়রানি মূলক মামলা দায়ের করে। স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, মামুনকে যেন জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া না হয়।