দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ

428

স্টাফ রিপোর্ট- ১৪ মার্চ ২০১৭, দৈনিক রাঙামাটি (প্রেস বিজ্ঞপ্তি): ‘পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির সব শ্রেণি-পেশার মানুষ চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। যাঁদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, তাঁরাও পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে কয়েকটি আঞ্চলিক দল ও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।’

গত ১২মার্চ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় এমন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ করে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্রপরিষদের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা একটি দায়িত্ত্বশীল পত্রিকা হয়েও  উপজাতীয় চাঁদাবাজদের আরাল করতে গিয়ে বাঙালি ছাত্র পরিষদকে চাঁদার সাথে সম্পৃক্ত করতে অপচেষ্টা করে আমাদের সামাজিক মর্যাদা চরমভাবে ক্ষুন্ন করতে চেয়েছে।

পক্ষান্তরে উপজাতীদের আদায় করা ৮০ লক্ষ টাকার দায় বার বাঙালিদের উপর চাপিয়ে দেয়ার অপপ্রয়াস চালিয়েছে। যেখানে ৩ পার্বত্য জেলায় উপজাতীরা ৩ সংগঠনের মাধ্যমে কি পরিমান চাঁদাবাজি করে তা স¤প্রতি এক সাংবাদিক পার্বত্যাঞ্চল ঘুরে দেখার সময় আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস (সন্তু), জেএসএস (সংস্কার) এবং ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের অপহরণ ও চাঁদাবাজির চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। তিনি লিখেছেন এ তিনটি সংগঠনের নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন তিন জেলার সাধারণ উপজাতি ও বাঙালিরা।

এমনকি স্থানীয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারাও উপজাতি এসব সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে অসহায় বলে মন্তব্য করেছেন। আর এটাই বাস্তব সত্য। তবে ৩ পার্বত্য জেলায় প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ যে সকল রিপোর্টার নিয়োগ করেছে, তাঁরা সবই উপজাতীয়, কাজেই এসব উপজাতি রিপোর্টাররা কখনো স্বজাতির বিপক্ষে লিখবেনা এটাই সাভাবিক।

আর পিবিসিপির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমি জানি ছাত্র পরিষদ জম্মলগ্ন থেকে কোন চাঁদাবাজি করেনা। ১৯৯১ সাল থেকে ছাত্র পরিষদ দীর্ঘ সময়ে এরূপ কর্মকান্ডে জড়িত ছিলনা এখন ও নাই ভবিষ্যতেও থাকবেনা। এরপর ও বাঙালি ছাত্র পরিষদের নামে কেউ চাঁদাবাজি করে তাহলে প্রশাসনকে বলবো তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিন। বাঙালি ছাত্র পরিষদে কোন গ্রুপ নেই। প্রথম আলো পত্রিকার রিপোর্টারকে জানতে হবে যে, বাঙালি ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা ৪জন নয়, ১৯ জন সম্মানিত ব্যক্তি, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ অনেক সম্মানিত পেশায় নিয়োজিত আছেন, তারাই ছাত্র পরিষদকে উপদেশ দিয়ে পার্বত্য বাঙালিদের সাংবিধানিক সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করে আসছেন। ভবিষ্যতে এরূপ মিথ্যা বিভ্রান্তিকর সংবাদ দেয়া থেকে বিরত থাকা এবং সঠিক তথ্য জেনে রিপোর্ট করে দেশ জাতিকে সঠিক খবর পরিবেশনের আহব্বান জানাচ্ছি, অন্যথায় আইন গত ব্যবস্থা নিতে আমরা বাধ্য হব।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান, দৈনিক রাঙামাটি।