নাইক্ষ্যংছড়িতে ভূর্তকী মূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরু

176

॥ নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি ॥

সারা দেশের ন্যায় নাইক্ষ্যংছড়িতে ও নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে চাল খোলা বাজারে বিক্রি কার্যক্রম (ওএমএস) শুরু হচ্ছে। ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের উত্তর বিছামারা মদিনা তুল উলুম ইনস্টিটিউট দাখিল মাদরাসার পাশের মার্কেটের ওএমএস চাল বিক্রি কেন্দ্র্রে চাল বিতরণ উদ্বোধন করেন সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল আবছার ইমন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ সেলিম হেলালী, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শামীম ইকবাল চৌধুরী, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফকির আহাম্মদ,ওএমএস ডিলার মৃদুল বড়ুয়া প্রমূখ।

উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ওএমএসের আওতায় সরকার ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা এবং দিনে ২টন চাল জন প্রতি ৫ কেজি করে ৪শ পরিবারকে বিক্রির নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরাও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১৫ দিন অন্তর মাসে ২বার চাল বিক্রি করার নির্দেশনা রয়েছে বলেও জানান।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ সেলিম হেলালী জানান, সারা দেশে ৮১১টি থেকে ওএমএস কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করে মোট ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রের ডিলারদের মাধ্যমে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে সব কেন্দ্রেই চাল বিক্রি করা হবে।

তবে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নে প্রাথমিক ভাবে দুইটি ওএমএস খোলা বাজারের চাল বিক্রি কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। একটি সদর ইউনিয়নের রেস্টহাউজ সড়ক সংলগ্ন ডিলার আব্দু সাত্তারের ওএমএস চাল বিক্রি কেন্দ্রটি গফুর সাওদাগরের মার্কেটে অন্যটি ওএমএস চাল বিক্রি ডিলার মৃদুল বড়ুয়ার সদরের উত্তর বিছামারা মদিনা তুল উলুম ইনস্টিটিউট দাখিল মাদরাসার সংলগ্ন মার্কেটে।

১টি কেন্দ্রে দৈনিক চাল বিক্রি করতে বরাদ্দ রয়েছে ২টন। প্রতিজনকে ৫কেজি করে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করার অনুমতি রয়েছে।

অন্য একটি সূত্র জানান, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরা ওএমএস কেন্দ্রে এসে আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে চাল নিতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, টিসিবি কার্ডধারীরা ওএমএসের মতো ন্যায্যমূল্যে চাল পাবেন। তাই কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল প্রদান করা হবে।

উল্লেখিত পরিপত্রে জানাযায়, ওএমএস কার্যক্রমে চাল বিক্রয় করার জন্য ক্রেতাদের দুটি আলাদা লাইন করতে হবে। একটি লাইনে সাধারণ ক্রেতা এবং অন্য লাইনে টিসিবির কার্ডধারীরা দাঁড়াবেন।

ডিলারের কাছে সংশ্লিষ্ট দিনের চালের বরাদ্দ শেষ হয়ে গেলে পরে আসার অনুরোধ জানাতে হবে। টিসিবির কার্ডধারীরা পাক্ষিক (১৫ দিনে) ৫ কেজি করে মাসে দুবার মোট ১০ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, টিসিবির কার্ডধারীকে চাল দেয়ার পর ওএমএস ডিলাররা টিসিবির কার্ডের পেছনে নমুনা সিল/পাঞ্চিং মেশিন দিয়ে কার্ডের ওপরে প্রতিবারের জন্য একটি ছিদ্র করে দেবেন। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্র্রশাসন ডিলারের কার্যক্রম তদারকি করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক তদারকি কর্মকর্তা/ট্যাগ অফিসার নিয়োগ রয়েছে।
তদারকি কর্মকর্তা/ট্যাগ অফিসার বিক্রয়স্থলে দিনের বিক্রয়যোগ্য খাদ্যশস্যের বস্তা ও পরিমাণ সম্পর্কে সন্তুষ্ট হয়ে বিক্রয় আদেশ দেবেন।