নানিয়ারচরে পুষ্টি পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

396

॥ মাহাদী বিন সুলতান ॥
জেলার নানিয়ারচরে উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বাৎসরিক পুষ্টি পরিকল্পনা (২০২০-২০২১) প্রণয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে লিডারশিপ-টু এনসিওর এড্ইকুয়েট নিউট্রিশন (লীন) প্রকল্পের সহযোগীতায় বাৎসরিক পুষ্টি পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলি রহমান তিন্নী।

এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হাওলাদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা আক্তার, নানিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নূয়েল খীসা, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা অংলাপ্রু মারমা, নানিয়ারচর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অশোক কুমার দেওয়ান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দিলীপ কুমার, সমাজসেবা কর্মকর্তা উত্তরা চাকমা, সদর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য অনিতা চাকমা, উপজেলা ব্র্যাক কর্মকর্তা জ্যাপোলিন চাকমা, উপজেলা ফ্যাসিলিটি অফিসার নির্মল চাকমা এবং নিপা চাকমা প্রমূখ।

উপজেলা পুষ্টি পরিকল্পনা প্রণয়ন অনুষ্ঠানে জুম ফাউন্ডেশনের নানিয়ারচর উপজেলা সমন্বয়কারী রুনু চাকমার উপস্থাপনায় বক্তারা উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দাদের বাৎসরিক পুষ্টির যোগান, পুষ্টি পরিকল্পনা প্রণয়ন, স্থানীয় পুষ্টির চাহিদা মেটাতে আচরণবিধির পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে শিউলি রহমান তিন্নী বলেন, মাঠকর্মীরা মাঠ পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয়দের পুষ্টির যোগান সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে। এছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের প্রতি এবং সন্তান প্রসবের পরে মা ও শিশুদের প্রতি মাঠকর্মীদের বিশেষভাবে পুষ্টির ব্যাপারে নজর রাখতে হবে।

তিনি আরও জানান, কোন শিশু যেন পুষ্টি অভাবে না থাকে সেদিকে নজরদারী বাড়াতে হবে।
এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বক্তব্যে ড. নূয়েল খীসা বলেন, প্রতিটি মানুষের পুষ্টি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। মানব শরীরে পুষ্টির যেমন ঘাটতি রয়েছে তেমনি কিছু মানুষের শরীরে বাড়তি পুষ্টিও রয়েছে। খাদ্যাভাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে সুষম পুষ্টির যোগান দেওয়া সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, আচরণগত পরিবর্তনের ফলেও পুষ্টির অভাব লক্ষণীয়। প্রাণীজ প্রোটিন ছাড়া পুষ্টি ঘাটতি পূরণ সম্ভব নয়। ইদানীং লক্ষ্য করা যায়, স্থান সংকুলানের ফলে আমাদের সমাজে হাঁস-মুরগী পালন করা হয়না। প্রাণীজ প্রোটিনের জন্য তাই হাঁস-মুরগী পালন করতে হবে।