॥ মাহাদি বিন সুলতান ॥
চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলা থেকে আগতদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছে রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার ৪নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ১ ও ২নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসীরা।
গত ১২ এপ্রিল (রবিবার) থেকে এই নিয়মটি চালু করেছে এলাকাবাসী। তারা চট্টগ্রাম ও অন্যান্য জেলা থেকে আগতদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ঘিলাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চৌধুরীছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মনতলা পাড়া কেন্দ্রে এই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছে।
১নং ওয়ার্ড মেম্বার জ্ঞানরঞ্জন দেওয়ান বলেন, “এলাকার অনেকেই অঘোষিত লকডাউনের আগে এসে পড়েছে। কিন্তু এখনও বিভিন্নভাবে অনেকে এলাকায় আসছেন। তাই যারা এখন এলাকায় আসছেন তারা করোনা ভাইরাস বহন করে আনলেও যাতে এলাকার অন্যকেউ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। সেজন্য আমি ও আমার ওয়ার্ডের এলাকাবাসীরা মিলে চৌধুরীছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘিলাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মনতলা পাড়া কেন্দ্রে যারা বাহিরের জেলা থেকে আসছে তাদের ১৪দিন থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি।”
তিনি আরও বলেন, ঘিলাছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ জন, চৌধুরীছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ জন ও মনতলা পাড়া কেন্দ্রে ২ জনসহ মোট ৮ জনকে কোয়ারেইন্টানে রাখা হয়েছে।
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে থাকা একজন জানান, “এতদিন বেতনের আশায় চট্রগ্রামে লকডাউনে ছিলাম, কিন্তু বেতন না পাওয়ায় আমরা শঙ্কিত। ত্রাণ সামগ্রী না পেলে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়ে যাব আমরা।”
চৌধুরীছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকা অপর একজন জানান, “প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে থাকার ব্যবস্থা করায় আমরা এলাকাবাসীর নিকট কৃতজ্ঞ। আমি আমার, আমার পরিবার ও এলাকাবাসীর জন্য সেচ্ছাই কোয়ারেইন্টানে থাকা নিরাপদ মনে করি।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার জ্ঞানরঞ্জন দেওয়ান, পুলিন চাকমা, সোনাধন কার্বারী ও আলোময় চাকমা ব্যক্তিদ্বয় মিলে এ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানের ব্যবস্থা করেন।