নির্বাচনের পূর্বে সংলাপের প্রয়োজন নেই, বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে: ডিএফডি’র ছায়া সংসদে তোফায়েল আহমেদ

288

স্টাফ রিপোর্ট- ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, দৈনিক রাঙামাটি (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি): আব্দুল জলিল ও মান্নান ভুইয়ার মধ্যে সংলাপ হয়েছিল কিন্তু কোনো ফল হয়নি। পরবর্তীতেও অনেক সংলাপ হয়েছে তার ফলও শুভকর ছিল না। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পূর্বে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ২ দিনের মধ্যে সংলাপের আহবান জানিয়ে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী পরের দিনই টেলিফোন করে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৫টি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা আসেননি। বর্তমান সরকারের পূর্ববর্তী সময়েই ৫টি সিটি কর্পোরেশনে বিএনপি জয়লাভ করেছে।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সংলাপে না এসে বিএনপি ভুল করেছে। তাই বিএনপির উচিত হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা। যার জন্য সংলাপের কোন প্রয়োজন নেই। গতকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিএফডিসির এটিএন বাংলা’র স্টুডিওতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট- এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, নির্বাচন বসে থাকবে না, নির্বাচন হবেই। নির্বাচনও অবাধ হবে। ১৯৯৬’র ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন টিকেনি। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন টিকেছে। এটি কেবল দেশে নয়, বিদেশেও টিকেছে। বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করার অধীকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি ভোলায় অনুষ্ঠিত কাউন্সিল স্্ুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব ও স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে ফোনে কথা বলে কাউন্সিলের জন্য সকল প্রকার সহযোগিতা করেছেন। তিনি মনে করেন, বিএনপি নির্বাচনে আসলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুন্দর একটা নির্বাচন হবে। তবে এ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে বলে পুনরায়া তার অভিমত ব্যক্ত করেন।

সভাপতির বক্ত্যবে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি বা ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন চাই না। এ ধরনের নির্বাচনের বিভেদ ও বিভাজনের রাজনীতি তৈরী করছে। যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। আমরা চাই আগামী জাতীয়  নির্বাচন যাতে সকল দলের অংশগ্রহণে আবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। মানুষ যাতে সে নির্বাচনে অত্যন্ত উৎসব মূখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র, সুশাসন ও উন্নয়ন একসাথে চলা জরুরী। গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে শুধু উন্নয়ন আবার কেবল গণতন্ত্রের ধোয়া তুলে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। এমন পেক্ষাপটে দেশে এখন দরকার রাজনৈতিক সমঝোতা, আলোচনা। আর সেই সমঝোতা তৈরীর জন্য প্রয়োজন হলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ফলপ্রসু সংলাপ হওয়া উচিত। যে সংলাপে আহবান জানাতে পারেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে রকম আহবান জানিয়ে ছিলেন বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পূর্বে।

সরকারি দলের বক্তারা বলেন, অতীতের সংলাপগুলো কোন সুফল বয়ে আনতে পারে নি। তাই সংলাপের প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে বিরোধী দলের বক্তারা বলেন, একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপক্ষ নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক সংলাপ অপরিহার্য। প্রতিযোগিতায় সরকারী দল বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজী  বিরোধী দল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে জয় লাভ করে। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

প্রতিযোগিতায় বিজ্ঞবিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ ও সাংবাদিক সোমা ইসলাম।

 পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান।