আলমগীর মানিক
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেছেন, পার্বত্যাঞ্চলে অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠিকে উন্নত জীবনে ধাবিত করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই ১৯৭৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠনের নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৬ সালে পাহাড়ের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে উন্নয়ন বোর্ড যাত্রা শুরু করে পার্বত্য চট্টগ্রামের আপামর জনসাধারণের জীবন মান্নোয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
পাহাড়ের নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মেধাকে আরো বিকশিত করার লক্ষ্যে অত্রাঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিগত প্রায় এক দশক সময়ে অন্তত ১২ কোটি টাকা শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। এতে করে কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ে পড়–য়া তিন পার্বত্য জেলার প্রায় ২০ হাজার মেধাবী শিক্ষার্থী বৃত্তির আওতায় এসেছে।
এই বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে পাহাড়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবন এগিয়ে নিবে এবং তাদের মাঝে দেশের প্রতি দ্বায়বদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করে নিখিল কুমার চাকমা বলেন, মেধাবী উন্নত প্রজন্মের মাধ্যমেই পাহাড়ে একটি উন্নত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বুধবার(৭ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটির বাসিন্দা ৭৫৩ জন কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয় পড়–য়া মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষাবৃত্তির ৬৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
এসময় উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম চৌধুরী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বোর্ডের সদস্য প্রশাসন ইফতেখার আহমেদ, সদস্য বাস্তবায়ন হারুন অর রশীদ, সদস্য পরিকল্পনা মোঃ জসিম উদ্দিন, বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, রাঙামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সহ-সভাপতি মো. অলি আহমেদসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: শিক্ষাবৃত্তির জন্য তিন পার্বত্য জেলার মোট ৮৯২৪জন শিক্ষার্থীদের আবেদন করেছে। প্রাপ্ত সকল আবেদন অনলাইর অটোমেশন পদ্ধতিতে সফটওয়্যারের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে তিন পার্বত্য জেলার মোট ২২২৩ জনকে মেধাবী, গরীব ও অনগ্রসর শিক্ষার্থীকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। তম্মধ্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার ৭৫৩জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করা হয়। ইতোমধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলার ৭৩৩জন কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করা হয়েছে।কলেজ পর্যায়ের প্রত্যেককে এককালীন ৭০০০/- (সাত হাজার) টাকা এবং বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করা হয়েছে।