পাহাড়ে পাশের হার আরো নীচে নামলো রাঙামাটি ৬৭, খাগড়াছড়ি ৬৮, বান্দরবানে ৭০

130

॥ আলমগীর মানিক ॥

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পিছিয়ে পড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় এবার এসএসসিতে পাশের হার গতবছরের তুলনায় আরো কমেছে বলে জানিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ বলেছেন, পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে এবার এসএসসি’তে পাশের হার ৬৭.৯২, গত বছর রাঙামাটিতে পাশের হার ছিলো ৮১.৬০। পার্বত্য খাগড়াছড়িতে এবার পাশের হার ৬৮.৩৭, গত বছর খাগড়াছড়িতে পাশের হার ছিলো-৭৫.৮৭, অপরদিকে পার্বত্য বান্দরবান জেলায় এবার পাশের হার ৭০.৩০, বান্দরবানে গতবছর পাশের হার ছিলো ৭৮.৩৬।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণাকালে নারায়ন চন্দ্র নাথ জানিয়েছেন, রাঙামাটি জেলা থেকে চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো ৮ হাজার ৭৪২ জন, খাগড়াছড়ি থেকে ৯ হাজার ৮৬৬ জন, বান্দরবান থেকে ৪ হাজার ৯৪৫ জন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এসএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী। এই বোর্ডে পাসের হার ৭৮.২৯ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২১৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬৯ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। পাস করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্র ৬৮ হাজার ৩১৬ জন এবং ছাত্রী ৮৬ হাজার ৫০৩ জন। পাসের হার ৭৮.২৯ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ৯.২৪ শতাংশ কম। এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ছাত্র পাসের হার ৭৭.৭৫ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৯.৫৮ শতাংশ কম এবং ছাত্রী পাসের হার ৭৮.৭২ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ৮.৯৭ শতাংশ কম।

এবার চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ৫ হাজার ৪ জন ছাত্র এবং ৬ হাজার ৪৪৬ জন ছাত্রী। গতবছর এই শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৬৬৪ জন।