পাহাড়ের ভোটারদের আবারও অবৈধ অস্ত্র চোখ রাঙাচ্ছে: দীপংকর তালুকদার

636

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

পাহাড়ের ভোটারদের আবারও অবৈধ অস্ত্র চোখ রাঙাচ্ছে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা দীপংকর তালুকদার বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলে আঞ্চলিক দলগুলো উপজাতীয় জনগোষ্ঠীকে বন্দুকের নলের মাধ্যমে দমিয়ে রেখে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার পায়তারা। মঙ্গলবার রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ৩নং বুড়িঘাট ইউনিয়ন ও ইসলামপুর ইউনিয়নে পৃথক দুই মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়মাীলীগের সহ-সভাপতি নিখিল কুমার চাকমা, সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল ওয়াদুদ, নানিয়ারচর আওয়ামীলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য ত্রিদীব কান্তি দাশ।

দীপংকর তালুকদার বলেন, তথাকথিত অধিকার আদায়ের নামে আঞ্চলিক সংগঠন গুলো পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারটুকু কেড়ে নিচ্ছে। তাদের ভয়ে নতজানু হলে চলবে না উল্লেখ করে দীপংকর বলেন, সন্ত্রাসী অস্ত্রধারীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলে এই অন্যায় ও অবিচারকে রুখে দিতে। আর এজন্যই আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের বিজয় নিশ্চিতে সন্ত্রাসীদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে প্রার্ন্তিক পর্যায়ের নাগরিকদের তথা প্রকৃত ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।

দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাঙ্গালীদের এনে এই অঞ্চলে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। তারা জীবন সংগ্রামের মাঝে থেকে এই এলাকায় টিকে ছিলো। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ী বাঙ্গালীর মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন তৈরী করেছে। এই দেশের মানুষের অন্ন বস্ত্র, বাসস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ আছে বলেই পাহাড়ের উন্নয়ন হচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় রক্ষা করতে হলে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হলেই এই এলাকার উন্নয়নে আর কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।

তিনি উপস্থিত উপজাতীয়দের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করতে চায়, স্কুল কলেজ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করতে চায় কিন্তু আপনাদের ভাই ও বন্ধুরা উন্নয়ন কাজে বাঁধা দিচ্ছে। চেঙ্গী ব্রীজ করতে বাধা দিয়েছে। রামহরি পাড়া রাস্তা করতে বাধা দিয়েছে। তার পরও আমরা এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে রাস্তার কাজ করতে হয়েছে। এখন চেঙ্গী নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ হচ্ছে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে। এই উন্নয়ন কাদের জন্য এই উন্নয়ন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জন্য। এই উন্নয়ন পাহাড়ের বঞ্চিত মানুষদের জন্য। তাহলে তারা কেন বাধা দেয়।

কৈই তারাতো কোন উন্নয়ন করতে পারে না আমরা করলে সেটাতে বাধা দেয়। তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আগে ঐক্যবদ্ধ হোন তাহলে আমরা উন্নয়ন দেবো, রাস্তা দেবো, বৌদ্ধ বিহার দিবো, স্কুল কলেজ দিবো। আর যারা বাধা দিতে আসবে তাদের লাঠি পেটা করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেই তারা পালিয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।