॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেছেন উন্নয়ন বোর্ড স্থানীয় জনমানুষের চাহিদার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকে। ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড তিন পার্বত্য জেলায় যেকোন দুর্গম এলাকার কৃষি, যাতায়াত, সমাজকল্যাণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা সম্প্রসারণ, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে কোন প্রিন্ট কিংবা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করে। তাই দুর্গম পার্বত্য এলাকার জনমানুষকে কষ্ট করে বোর্ডে এসে আবেদনপত্র দাখিলের প্রয়োজন হয় না। বোর্ডে অনুষ্ঠিত গণশুনানীকালে চেয়ারম্যান এই মন্তব্য করেন।
জন প্রশাসনে শুদ্ধাচার চর্চার অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে আবরও এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) দুপুর ১টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রাঙামাটিস্থ প্রধান কার্যালয়ে এই গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীর করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। গণশুনানিতে রাঙামাটি সদর ও খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলাধীন দুর্গম এলাকা হতে সাধারণ মানুষ তাদের সমস্যা নিয়ে গণশুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। এসময় চেয়ারম্যান সকলের কথা মনযোগ দিয়ে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
গণশুনানিতে উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়। সেবা প্রত্যাশীদের প্রত্যেককের আবেদন ও বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আওতায় দুর্গম এলাকায় সোলার হোম সিস্টেম, রাস্তা নির্মাণ, ফুট ব্রীজ নির্মাণ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্œয়ন প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এর বরাবর আবেদন জানান। সেবা প্রত্যাশীদের হতে প্রাপ্ত আবেদনগুলো যাচাই বাছাই করে আগামীতে গুরুত্বসহকারে বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে মর্মে গণশুনানিতে বোর্ডের চেয়ারম্যান আবেদনকারীদের আশ^স্ত করেন।
এসময় বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো, বাজেট ও অডিট অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান, শুভদর্শী ভান্তে, বিহারী চাকমা, মিজ্ বেনুকা ত্রিপুরা, উষা কিরণ চাকমা, নানিয়ারচর; জটিল কান্তি চাকমা, মহালছড়ি খাগড়াছড়ি; আজগর রাজস্থলী, চির জ্যোতি চাকমা, মহালছড়ি; কালাময় চাকমা মহালছড়ি এবং রজু চাকমা, মহালছড়ি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।