প্রতিটি ধর্মই অন্য ধর্মালম্বীদের অনিষ্ট করা থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দেয়: এমপি দীপংকর

358

॥ ইকবাল হোসেন ॥

ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা একজন মানুষ কখনও নৈতিকতা বিরোধি কোনো কাজে লিপ্ত হতে পারে না; কারণ প্রতিটি ধর্মই মানুষকে বা তার অনুসারীদের সঠিক পথে পরিচালনা করে। পাশাপাশি প্রতিটি ধর্মই অন্য ধর্মালম্বীদের অনিষ্ট করা থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দেয়। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) ১৪৪৩ হিজরী উদযাপন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক ইসলামিক ফাউন্ডেশন, রাঙামাটি আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার ও জায়নামাজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দিপংকর তালুকদার এমপি একথা বলেন।

বুধবার (২০ অক্টোবর) সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাঙামাটি কার্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী সোলায়মান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলী, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাঙাামটি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান। ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাঙামাটি জেলা কার্যালয়ের উপহ-পরিচালক মুহাম্মদ ইকবাল বাহার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ফিল্ড অফিসার মো. আলী আহসান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় ইমাম সমিতি রাঙামাটি জেলার সভাপতি ক্বারী ওসমান গণি। অন্যান্যের মধ্যে সদর উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার মো. নুরুন নবী সহ অন্যান্য উপজেলার ফিল্ড সুপারভাইজার ও অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী।

প্রধান অতিথির বক্তব্য- খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দিপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন- বর্তমান সরকারের উন্নয়নে ঈর্ষান্নিত হয়ে মৌলবাদীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মালম্বীদের মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে। তারা অতীতেও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তাই তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের মোকাবেলার আহ্বান জানান। তিনি উপস্থিত বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের মসজিদে আগত মুসল্লিদের ইসলামের সঠিক ধ্যান-ধারণা তুলে ধরে রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি অটুট রাখতে কাজ করে যাওয়ার ও আহ্বান জানান।

আলোচনা সভার পর অতিথিরা ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত হামদ/নাত, ক্বেরাত, আজান ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন এবং পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলীর পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলার সকল মসজিদের প্রতিনিধিদের হাতে জায়নামাজ ও নামাজের চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার তুলে দেন। পরে মিলাদ ও দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।